ম্যাচসেরার পুরস্কারটা যে সাকিব আল হাসানের হাতে উঠবে, এটি প্রত্যাশিতই ছিল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে সিরিজের শেষ ম্যাচে হারানোর দিন সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৫ রান, বোলিংয়ে ৪ উইকেট। বাংলাদেশের জয়ের দিনটা তো সাকিবেরই।
এমন দিনে সংবাদমাধ্যম তো সাকিবের সঙ্গে কথা বলতে চাইবেনই। কিন্তু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব এলেন না। তিনি নাকি আসতেই চাননি। ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওয়ানডে অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনটাও অবশ্য সাকিবময়ই হলো।
তামিম সাকিবকে প্রশংসাতেই ভাসালেন, ‘সে আজ অসাধারণ খেলেছে। যেভাবে সে নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ব্যাট করেছে, ওই রানগুলো আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বোলিংয়ের সময় উইকেটে তেমন সাহায্য ছিল না। স্পিন করছিল না। এরপরও এমন বোলিং করেছে সে।’
সাকিবের পারফরম্যান্স সতীর্থদেরও অনুপ্রাণিত করে, সেটিও জানালেন তামিম, ‘সাকিবের বোলিং দেখে তাইজুলও ভালো করেছে। শুরুতে সে বুঝতে পারেনি, এখানে কী করা উচিত। পরে কিন্তু তাইজুলও ভালো করেছে।’
সাকিব কেন আলাদা, এই পুরোনো প্রশ্নও হয়েছে আজ। তামিম উত্তরে বলেছেন, ‘সে মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী। এর আগেও সে এমন পারফরম্যান্স করেছে। এটা নতুন নয়। আর তার মতো ক্রিকেটার থাকা যেকোনো দলের জন্য আশীর্বাদ। তার স্কিল সেটই আলাদা, যে কিনা ১০ ওভার বোলিং করবে আবার ব্যাটিংও করবে, এমন ক্রিকেটার খুব বেশি খুঁজে পাবেন না।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে সাকিবকে ব্যাটিং অর্ডারের পুরোনো জায়গা পাঁচে খেলতে হচ্ছে। যদিও গত কয়েক বছর তিনে ব্যাটিং করে সাকিবের রেকর্ড ছিল দুর্দান্ত। তামিম অবশ্য আজ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সাকিবকে মিডল অর্ডারেই দেখা যাবে। তাঁর কথা, ‘সে আমাদের হয়ে ৪ অথবা ৫-এ খেলবে। এটা নিশ্চিত।’
সাকিবের প্রসঙ্গ এসেছে জস বাটলারের সংবাদ সম্মেলনেও। প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের মুখেও ছিল সাকিব-বন্দনা, ‘দারুণ ক্রিকেটার। সংখ্যাই বলে দেয় সে কত বড় ক্রিকেটার। ২০১৯ বিশ্বকাপ সে দারুণ খেলেছে, সেটা ভুলিনি।’