ব্যাট হাতে যখন নামলেন, ততক্ষণে তাঁর দলের জয় প্রায় নিশ্চিত। খুব বেশি কিছু আসলে করার দরকার পড়েনি তাওহিদ হৃদয়ের। দরকার ছিল ম্যাচটা শেষ করে আসার, ৯ বলে অপরাজিত ১৪ রান করে সেই কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন জাফনা কিংসের এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। হৃদয় ম্যাচের শেষটা করেছেন দারুণভাবে, নাসিম শাহকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের করা ৮ উইকেটে ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে হৃদয়ের জাফনা জিতেছে ৩৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে।
এবারের এলপিএলে এটাই শেষ ম্যাচ ছিল হৃদয়ের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত এলপিএলে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছিল। জয় দিয়েই তাই শেষ হলো হৃদয়ের প্রথম এলপিএল অভিযান। দেশে ফিরে তিনি যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
হৃদয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন আসলে তাঁর দলের দুই ওপেনার নিশান মাদুশকা ও রাহমানউল্লাহ গুরবাজ। তাড়া করতে নেমে এ দুজনের উদ্বোধনী জুটিতেই ৫.২ ওভারে আসে ৫৮ রান। গুরবাজ আউট হয়েছেন ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ২১ বলে ৩৯ রান করে। মাদুশকার ইনিংসেও ৩টি করে ছক্কা ও চার। তিনি করেছেন ৩২ বলে ৪৬। এরপর অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে ম্যাচ একেবারে হাতের নাগালে চলে আসে জাফনার।
এর আগে পাতুম নিশাঙ্কা ও বাবর আজমের উদ্বোধনী জুটিতে ৭ ওভারেই ৫৭ রান তুলে ফেলার পর হঠাৎ একটা ধস নামে কলম্বোর ইনিংসে। ২৫ বলে ৭ চারে ৩৬ রান করে নিশাঙ্কা আউট হন দলকে ৫৭ রানে রেখে। এরপর ৬২ থেকে ৬৯—এই ৭ রানের মধ্যে ফিরে যান বাবর, নোয়াভানিদু ফার্নান্দো ও ইফতিখার আহমেদ। ১ ছক্কা ও ২ চারে বাবর করেন ২১ বলে ২৪ রান। এবারের এলপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩৫ রান তাঁর। একটা সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে একটা ফিফটিও।
পঞ্চম উইকেটে লাহিরু উধারা ও মোহাম্মদ নওয়াজ মিলে গড়েন ২৮ বলে ৩০ রানের জুটি, যেখানে নওয়াজের অবদান ১০ বলে মাত্র ৪ রান। পরে অবশ্য নওয়াজ হাত খুলেছেন, ২৫ বলে ২৯ রান করে উধারার বিদায়ের পর তিনিই নিয়েছেন রান তোলার মূল দায়িত্ব। চামিকা করুনারত্নের সঙ্গে ২৪ বলে ৪০ রানের জুটিতে নওয়াজ করেছেন ১০ বলে ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার আউট হয়েছেন ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ২৭ রান করে। করুনারত্নে ফিরেছেন ১৮ বলে ২১ রান করে।