পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম
পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম 
আকরাম

বিদেশি কোচরা পাকিস্তানে আসতে ভয় পান

রমিজ রাজাকে সরিয়ে নাজাম শেঠি যেদিন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেদিন থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেটে বদলের হাওয়া বইছে। রমিজ রাজার নিয়োগ করা অনেককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে আগের নির্বাচক কমিটি। শহীদ আফ্রিদিকে দেওয়া হয়েছে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব। বোর্ডের নতুন গঠনতন্ত্র বদলে পুরোনো গঠনতন্ত্রে ফেরত যাওয়ারও প্রক্রিয়া শুরু করেছে নাজাম শেঠির নতুন বোর্ড। জাতীয় দলের জন্য একজন বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতে এ মুহূর্তে মরিয়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সম্প্রতি মিকি আর্থারের সঙ্গে কথাবার্তা বলেও ব্যর্থ পিসিবি। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ সোজা জানিয়ে দিয়েছেন, খণ্ডকালীন দায়িত্ব ছাড়া এই চাকরি নেবেন না। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, টম মুডিদের মতো কয়েকজন কোচ নিজে থেকেই পিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা পাকিস্তানের কোচ হতে চান না।

মিকি আর্থার পাকিস্তানের কোচ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন

কেন বিদেশিরা পাকিস্তানের কোচ হতে চান না, এ ব্যাপারে কথা বলেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ও সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। ক্রিকেট–বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’কে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার বলেছেন, চাকরির নিরাপত্তা না থাকার কারণেই বিদেশিরা আসতে চাচ্ছেন না, ‘বিদেশি কোচরা কেন পাকিস্তানে আসতে চান না, এ ব্যাপারে আমার মত হলো, তাঁরা মনে করেন, পিসিবিতে নতুন কমিটি এলেই তাঁদের চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। তাঁরা এটি নিয়ে ভয় পান। বিদেশিরা এখানে আসবেন না। যদি বিদেশি কোচ না পাওয়া যায়, তাহলে পাকিস্তানি কোচ দিয়েই চালানো উচিত।’

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মিকি আর্থার নাকি পিসিবিকে মানা করেছেন পাকিস্তানে তাঁর আগের বাজে অভিজ্ঞতার জন্য। নাজাম শেঠির সঙ্গে আলোচনায় আর্থার অতীত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর পিসিবি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা করেনি। ফলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের পরপরই আর্থারকে বিদায় করে দেওয়া হয় চুক্তির মেয়াদ না বাড়িয়ে।

এবার কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর আর্থার নাজাম শেঠিকে বলেছেন, ইংলিশ কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে পাকিস্তান দলের কোচ হবেন এবং তাঁর চুক্তি যে ভবিষ্যতে নিরাপদ থাকবে, সেই নিশ্চয়তা আছে? পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নিত্য পরিবর্তনশীল পরিবেশে সেই নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছেন না। পিটিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, চাকরির নিরাপত্তা নেই বলেই আর্থার পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে ‘খণ্ডকালীন’ কোচ হিসেবে কাজ করতে চেয়েছেন। ‘পরামর্শক’ বা এ জাতীয় দায়িত্বে আসতে চেয়েছেন। পিসিবি সেটি মানেনি।