অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ২০৯, আউট হয়ে যান ৬৫ রান করা উসমান খাজা। তখনো জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৭৩ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। এমন সময়ে অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে জুটি বাঁধেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক উইকেটে আসার পর স্কোরবোর্ডে আর ১৯ রান উঠতেই ফিরে যান ক্যারিও।
ক্যারি যখন আউট হয়ে ফেরেন, জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৫৪ রান। কামিন্স জুটি বাঁধেন নাথান লায়নের সঙ্গে। এরপর আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তাঁরা। অস্ট্রেলয়ার ২ উইকেটের জয়ে ৭৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ে অপরাজিত ৪৪ রান করেছেন কামিন্স।
মূল কাজ তাঁর বোলিংয়ে। কিন্তু দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে এমন দৃঢ়তা দেখালেন কামিন্স। স্বাভাবিকভাবেই অস্ট্রেলিয়াজুড়ে চলছে তাঁর বন্দনা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া কামিন্সকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড লিখেছে, ‘দুই বছর ধরে যে তিনি দলের অধিনায়ক ও নেতা, সেটা কামিন্স দেখিয়েছেন। তিনি এটাও দেখিয়েছেন যে সময় হলে ঠিকই আঘাত করতে পারেন।’
২০১৯ সালে বেন হেডিংলিতে বেন স্টোকসের ইনিংসের সঙ্গেও তুলনা করেছে পত্রিকাটি। শুধু অস্ট্রেলিয়া থেকেই নয়, কামিন্স প্রশংসা পেয়েছেন আরও অনেক জায়গা থেকেই। কামিন্সের এমন পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত ভারতের স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালও। তিনি কামিন্সের প্রশংসা করে টুইটারে লিখেছেন, ‘প্যাট কামিন্স, কুর্নিশ।’
এক পাকিস্তানি ক্রিকেট সমর্থক কামিন্সের উদ্যাপনের একটি ছবি টুইট করে লিখেছেন, ‘অধিনায়ক, নেতা।’