বাংলাদেশ স্পিনারদের দারুণ প্রশংসা করে কেইন উইলিয়ামসন বলেছেন, তাঁরা সিলেটের মতো কন্ডিশনে খেলতে অনেক শিক্ষা দিয়েছেন তাঁদের। সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের এখন পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক ছিলেন দারুণ এক শতক করা উইলিয়ামসনই।
গতকাল উইকেট বেশ ব্যাটিং–সহায়ক থাকলেও আজ বাংলাদেশি স্পিনাররা জীবন কঠিন করে তুলেছিলেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের। তবে পিচের এমন পরিবর্তন প্রত্যাশিতই ছিল বলে মনে করেন টানা চারটি টেস্টে শতক করা উইলিয়ামসন, ‘পিচ কিছুটা বদলেছে। আমরা সেটি প্রত্যাশা করছিলাম। আমাদের ব্যাটিং ও বোলিংয়ে মানিয়ে নিতে হবে। (আগামীকাল) সকালে কাজ বাকি, এরপর বল হাতে পাব।’
তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার—তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসানের সঙ্গে আজ মুমিনুল হককেও বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। গ্লেন ফিলিপসকে ফিরিয়ে উইলিয়ামসনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙেন মুমিনুলই।
বাংলাদেশের স্পিনারদের প্রসঙ্গে উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘তারা এমন কন্ডিশনের সঙ্গে খুবই পরিচিত। তারা খুবই নিখুঁত। সবারই ধরন আলাদা। তারা আজ অসাধারণ ছিল। অনেক হুমকি তৈরি করেছে। বিশ্বের এ প্রান্তে কীভাবে খেলতে হয়, সে ব্যাপারে অনেক শিক্ষা দিয়েছে।’
নিউজিল্যান্ডের অন্য কোনো ব্যাটসম্যান আজ ৪২ রানই করতে পারেননি। তবে ভাগ্যের সহায়তা পাওয়া উইলিয়ামসন ২০৫ বল খেলে করেন ১০৪ রান। এই পিচ কেমন, সেখানে কীভাবেই–বা খেলা দরকার, সে প্রসঙ্গে উইলিয়ামসন বলেন, ‘এটা এমন একটা পিচ, যেখানে ঠিক ছন্দটা খুঁজে পাওয়া কঠিন। আপনি ভালো কিছু বলও পাবেন। আমার মনে হয় প্রয়োগটা ভালো ছিল। আরও কয়েকটা রান করতে পারলে দারুণ হতো।’
দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেললেও উইলিয়ামসনের আশা আরও কয়েকটি রানের, ‘কঠিন এক দিন ছিল। ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে চেয়েছে। কয়েকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেছে। ২টি উইকেট বাকি আছে, আরও কয়েকটি রান করতে পারলে ভালো হবে, এরপর বোলিংয়ের সুযোগ পাব। পিচ ভাঙার ইঙ্গিত দিচ্ছে অনেক। আগামী কয়েক দিনে আরও ভাঙবে মনে হচ্ছে।’
উইলিয়ামসন আরও বলেন, ‘প্রতিটি সেশনই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিংয়ে আমাদের কাজ করতে হবে, প্রতিটি রানের মূল্য আছে। এরপর আমাদের নজরটা বদলাব। উইকেট দ্রুত ভাঙছে, ফলে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে আমাদের।’