‘আগে ফাস্ট বোলার ছিলাম, এখন মিউজিশিয়ান’।
নিজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এমন বর্ণনাই দিয়ে রেখেছেন কার্টলি অ্যামব্রোস। খেলা ছাড়ার পর সংগীতও তাঁর জীবনের বড় একটা অংশ। গিটারিস্ট অ্যামব্রোসের দেখা আজ মিলল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
বিপিএলে ধারাভাষ্য দিতে অ্যামব্রোস বাংলাদেশে এসেছেন আগেই। সিলেটে আজ গিটারও হাতে তুলে নিলেন। ফরচুন বরিশাল ও ঢাকা ডমিনেটরসের ম্যাচের পর মঞ্চে উঠে গিটার বাজিয়েছেন, গেয়েছেন বব মার্লের গানও।
যখন তাঁর ফাস্ট বোলিং ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দিত, তখনো গান-বাজনার প্রতি আগ্রহ ছিল এ কিংবদন্তির। অ্যামব্রোসের ভাষায়, ‘তখন গিটার নিয়ে মজা করতাম’। খেলা ছাড়ার পর সাবেক সতীর্থ রিচি রিচার্ডসনের সঙ্গে গড়েছিলেন ‘দ্য বিগ ব্যাড ড্রেড অ্যান্ড দ্য বাল্ড হেড’ নামের ব্যান্ড। ২০১১ সাল থেকে আছেন ‘স্পিরিটেড’ ব্যান্ডের বেজ গিটারিস্ট হিসেবে।
পিটার টস, বব মার্লে, বানি ওয়েইলার, বেরেস হ্যামন্ডের ভক্ত অ্যামব্রোস নিজেকে এখন মিউজিশিয়ান পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন। ‘অবসর নেওয়ার পর আমি ক্রিকেট দেখি না, আমি আসলে খেলা দেখার খুব একটা ভক্ত না। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভাগ্যে কী ঘটছে, তা অনুসরণ করি’—নিজের ওয়েবসাইটে এমন লিখে রাখলেও অ্যামব্রোস অবশ্য খেলা এখন ঠিকই দেখছেন।
খেলোয়াড়ি জীবনে ৯৮ টেস্টে ৪০৫টি উইকেট ছিল অ্যামব্রোসের। পাশাপাশি ১৭৬ ওয়ানডেতে নিয়েছিলেন ২২৫টি উইকেট।