নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত নভেম্বরে টেস্ট সিরিজের আগে নাজমুল হোসেনের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা মাত্র তিন ম্যাচের। সেই নাজমুল এক মাসের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে একটি টেস্টজয়ী দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ড সফরে এসে জিতেছেন কিউইদের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ও প্রথম টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়ক এর আগে যা করতে পারেননি, সে অর্জন এসেছে এই তরুণের নেতৃত্বে।
তা অধিনায়ক নাজমুলকে কেমন দেখলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে? আজ মাউন্ট মঙ্গানুইতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এ নিয়ে হাথুরুসিংহেকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর ছিল এমন, ‘সে খুব ভালো করেছে। কৌশলগতভাবে সে বেশির ভাগ সময় সঠিক ছিল। সে দলের কাছ থেকে কী চায়, কী প্রত্যাশা করে—খেলোয়াড়দের এই বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে একদম পরিষ্কার ছিল।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ঘরের মাঠে ও পরে কিউইদের আঙিনায় নাজমুলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছে সিনিয়র-শূন্য আবহে। চোটের কারণে বাংলাদেশ দলে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ এবং ইবাদত হোসেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেননি লিটন দাসও।
তবে সে অভাবটা বুঝতে দেয়নি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ দল। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? অভিজ্ঞরা না থাকায় কি ক্রিকেটাররা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারছেন? প্রশ্নটা শুনেই হাথুরুসিংহে একটু চুপসে গেলেন। কিছুক্ষণ পর উত্তর দিলেন এভাবে, ‘আমি যদি এমন কিছু বলি, তাহলে তা বিতর্কিত শোনাবে। আমি আসলে জানি না।’
পরে যোগ করেছেন, ‘অভিজ্ঞদের না থাকার সঙ্গে এই দলের ছেলেদের মানসিকতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করি। ওরা ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চায়। আমি মনে করি, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ অনেক ভালো। কারণ, যোগাযোগটা খুব স্বচ্ছ। শান্তর ব্যাপারে যেটা আগে বললাম। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো ক্রিকেটার।’
প্রশ্ন এসেছে নাজমুলকে দীর্ঘ মেয়াদে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারেও। এ ক্ষেত্রে হাথুরুসিংহের ভোট যে নাজমুলের পক্ষেই, তা বোঝা গেল তাঁর পরের কথায়, ‘আমার মনে হয় তারা (বিসিবি) বেশ ভালোভাবেই চিন্তা করবে। অবশ্যই এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কিন্তু শান্ত নিজেকে যথেষ্ট প্রমাণ করেছে তাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার জন্য।’