আভিনন্দন বাংলাদেশ দলকে। এই সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের দল বিশাল এক মনস্তাত্ত্বিক বাধা অতিক্রম করল। খেলোয়াড়দের টি-টোয়েন্টি সুলভ মনোভাব এবং সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত ও ইতিবাচক অধিনায়কত্ব যেন বদলে দিয়েছে এই দলটিকে।
প্রথম দু-একটা বল দেখেই মনে হচ্ছিল তাসকিন বিশেষ কিছু করবে এবং করেছেও তাই। বাউন্স, পেস, লইন, লেংথ—সব কিছু মিলিয়ে ওকে মোকাবেলা করাটা ছিল খুবই কঠিন।
তাসকিনের দারুণ আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের বিপরীতে হাসান ছিল আদর্শ পার্টনার। প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে দলের অবস্থান দৃঢ় করার ক্ষেত্রে সে-ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই পালন করেছে।
পাওয়ারপ্লেতে ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে আবারও তার স্কিল ও মানসিক শক্তির পরিচয় দিয়েছে। ক্যাচ না পড়লে তার উইকেটের ঘর সমৃদ্ধ হতে পারত। শেষ পর্যন্ত দারুণ মিতব্যয়ী ছিল।
শুরুতে অন্য সব বোলারের সাথে আজ তাকে একেবারেই মেলানো যাচ্ছিল না। বোলিংয়ের কৌশলগত বিষয় নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ আছে বলে মনে হ্য়। তবে ওমরজাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়েছে, শেষ দিকে ভালোভাবে ফিরে এসেছে।
রান দেবই না, এমন একটা মানসিকতা নিয়ে আজকাল বোলিং করছে এবং তার মধ্যেই সুযোগ বুঝে উইকেট তুলে নিচ্ছে। অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করার ব্যাপারটি ছিল অধিনায়কোচিত।
ব্যাটিংয়ে চমৎকার শুরু এনে দেয়ার মূল কারিগর। তবে একটা পর্যায়ে এসে ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। ইনিংসটাও লম্বা করতে পারেনি শেষ পর্যন্ত।
ওপেনিংয়ে পাওয়া সুযোগটা মোটামুটি ভালোই কাজে লাগিয়েছে । নির্বাচকেরা ওপেনিংয়ে অনভ্যস্ত আফিফের এই পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই মনে রাখবেন।
সাদা বলের সিরিজজুড়েই ২-৩ এর বেশি দেয়া গেল না। আশা করি নাজমুলের এ রানখরা দ্রুতই কেটে যাবে।
এ ম্যাচেও কার্যকরী ইনিংস খেলেছে। সাকিবের সঙ্গে ৩১ রানের জুটিটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম ম্যাচের মতো দলকে যেন কোনো নাটকীয়তার মুখোমুখি হতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করেছে।
* মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটিং বা বোলিং কিছুই করেনি।