টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এবার ভিন্ন সংস্করণ, ভিন্ন ভেন্যু, এমনকি শ্রীলঙ্কার অধিনায়কও আরেকজন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি আজ। বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কা, যাদের সঙ্গে দ্বৈরথ বাড়তি মাত্রা পাচ্ছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই। কিছুক্ষণের মধ্যে টস। তার আগে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই টসে জেতার পর এবার হেরেছেন নাজমুল হোসেন। প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা নিয়েছে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার আগের ৯টি সিরিজের মাত্র একটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে সেই সিরিজই আবার অনুপ্রেরণা হতে পারে বাংলাদেশের। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ সিরিজ যে সেটিই। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। ৯টি সিরিজের ২টি হয়েছে ড্র।
সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের দল থেকে এই একাদশে পরিবর্তন তিনটি। এনামুল হক, রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় এসেছেন মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।
একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান।
গতকাল ঘোষিত দলে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন পাতুম নিশাঙ্কা, লাহিরু কুমারা। দুজনই আছেন প্রথম ওয়ানডের একাদশে।
একাদশ: আভিস্কা ফার্নান্ডো, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানা, দিলশান মাদুশঙ্কা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা।
ক্রিস সিলভারউড এই সিরিজ নিয়ে খুবই ‘সিরিয়াস’। সিরিজ শুরুর আগের দিন বিকেলে দল ঘোষণা করা দলের কোচের ও রকম কথা অনেকেই হয়তো ‘সিরিয়াসলি’ নিতে চাইবেন না। কিন্তু গতকাল ওয়ানডে সিরিজ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার ইংলিশ কোচ খুবই প্রত্যয়ী চেহারা নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এই সিরিজটাকে খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছি।’
পড়ুন তারেক মাহমুদের প্রিভিউ:
ভালো খেললে অবশ্যই সিরিজ জিতব আমরা।মেহেদী হাসান মিরাজ, বাংলাদেশ অলরাউন্ডার
রাসেল আরনল্ড বলছেন, উইকেট সিলেটের টি-টোয়েন্টি সিরিজের উইকেটের মতোই। পিচে ঘাস আছে, বেশ শক্তও। অনুমিতভাবেই এখানে ব্যাটিং নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এ মাঠে ২৯টি ম্যাচের মধ্যে আগে ব্যাটিং করা দল জিতেছে ১১ বার, হেরেছে ১৭ বার।
আজ প্রথম ইনিংসে কত করবে শ্রীলঙ্কা? সেটি জানার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। আভিস্কা ফার্নান্ডোর সঙ্গে ওপেন করতে এসেছেন পাতুম নিশাঙ্কা। নতুন বলে প্রস্তুত শরীফুল ইসলাম।
প্রথম বলটা অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে গিয়েছিল। নিশাঙ্কার বিপক্ষে এরপর ভেতরের দিকে ঢুকানোর চেষ্টা করেছেন শরীফুল, পরাস্তও করেছেন। শেষ বলে গিয়ে একটু জায়গা দিয়েছিলেন অফ স্টাম্পের বাইরে, তাতে প্রথম রান নিয়েছেন নিশাঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা ২/০, ১ ওভার।
ডাউন দ্য লেগে ওয়াইড, অফ স্টাম্পের বাইরে জায়গা, প্যাডের ওপর, ফুললেংথ—তাসকিনের শুরুটা ভালো হয়নি মোটেও। লাইন বা লেংথ—প্রথম ওভারে কোনোটিই ঠিক করতে পারেননি। দুটি চার, একটি ৩ মিলিয়ে তাঁর প্রথম ওভারে এসেছে ১২ রান।
২ ওভারে ১৪/০
প্রথম ওভারে এলোমেলো ছিলেন, তবে পরের ওভারে বেশ ভালো করলেন তাসকিন। আভিস্কা ফার্নান্ডোকে সুযোগ দেননি। ইনিংসের প্রথম মেডেনটি করেছেন তিনিই। মাঝে শরীফুল তাঁর দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য প্রথম ওভারের চাপটি ধরে রাখতে পারেননি। দিয়েছিলেন ৭ রান।
৪ ওভারে ২১/০
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুজন ছিলেন ভয়ঙ্কর। বাংলাদেশকেও আজ হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা। শরীফুল ও তাসকিন—দুই পেসার নিজেদের তৈরি করা চাপ ধরে রাখতে পারছেন না এ উইকেটে। প্রথম ৬ ওভারে সাফল্য মেলেনি বাংলাদেশের, শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলেছে ৪১ রান।
৬.৪ ওভার, শরীফুলের শর্ট বল, আভিস্কার হুক, ইনিংসের প্রথম ছক্কা। ওই শটে ৫০ পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। শরীফুলের এ ওভার শুরু হয়েছিল অফ স্টাম্পের বাইরের বলে নিশাঙ্কার কাছে চার খেয়ে। ৪ ওভারে শরীফুল দিয়েছেন ৩১ রান, সম্ভবত এ স্পেলে শেষ ওভারটি করে ফেললেন তিনি।
নবম ওভারে প্রথমবারের মতো এসে প্রথম বল অফ স্টাম্পের বাইরে করে চার দিয়েছিলেন তানজিম হাসান। তাসকিনের জায়গায় তাঁকে এনেছেন নাজমুল। তানজিম এরপর লাইন ও লেংথ সংশোধন করেন দারুণভাবে। আভিস্কা ফার্নান্ডোকে একাধিকবার পরাস্তও করেন, যদিও এজ খুঁজে পাননি। কিন্তু শেষ বলে গিয়ে জায়গা দেন, সে সুযোগ হারাননি ফার্নান্ডো।
৮ ওভারে ৬১/০।
অনুমিতভাবেই আরেক প্রান্তে শরীফুলকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো এসেছেন কোনো স্পিনার—তাইজুল ইসলাম। এ বাঁহাতির দ্বিতীয় বলে স্লগ করে ছক্কা মেরেছেন নিশাঙ্কা। পরের ৪ বলে অবশ্য ১ রানের বেশি দেননি তিনি।
৯ ওভারে ৬৮/০।
অবশেষে উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ।
আঁটসাঁট লাইনে আভিস্কাকে একটু হতাশ করেছেন তানজিম। এরপর অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন। তাতে ব্যাট ছুড়েছিলেন আভিস্কা। কানায় লেগে উইকেটের পেছনে গেছে ক্যাচ। মুশফিক ভুল করেননি। প্রথম পাওয়ারপ্লের ১ বল বাকি থাকতে ভেঙেছে শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি, যাতে উঠেছে ৭১ রান।
১০ ওভারে ৭১/০। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে একচ্ছত্র ভাগ থাকার কথা ছিল শ্রীলঙ্কারই। শেষে এসে তা হতে দিলেন না তানজিম।
ফিল্ডার সৌম্য সরকারও অবাক হয়ে গেছেন ক্যাচ নেওয়ার পর। গালিতে ছিলেন, এমন শটে সেখানে ক্যাচ যাবে—সেটি ঠিক ‘স্বাভাবিক’ নয়। তানজিমের শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তবে শট খেলে ফেলেন বেশ আগেই। ব্যাটের একেবারে নিচের দিকের কানায় লেগে ক্যাচ গেছে সৌম্যর কাছে। অবাক হলেও সৌম্য প্রস্তুত ছিলেন।
পরপর ২ ওভারে দুই থিতু ওপেনারকে ফেরালেন তানজিম। নিশাঙ্কা থামলেন ২৮ বলে ৩৬ রান করে।
৩ ওভারে তানজিমের ৩ উইকেট! সর্বশেষ তাঁর শিকার সাদিরা সামারাবিক্রমা। ভেতরের দিকে ঢোকা বলে মিডউইকেটের দিকে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন সামারাবিক্রমা। সফল হননি। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেছে উইকেটের পেছনে। বলের লাইন অনুসরণ করে লেগ সাইডে সরে যাওয়া মুশফিক ডান দিকে ডাইভ দিয়ে নিয়েছেন দারুণ ক্যাচ।
১৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা। ১৪ ওভারে ৮৮/৩।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর সতর্ক চারিত আসালাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। শরীফুলকে ফিরিয়েছেন নাজমুল, প্রথম ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া এ বাঁহাতি পেসার এখনকার স্পেলের প্রথম ওভারটি করেছেন মেডেন, পরের ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১ রান।
১৭ ওভারে ৯৩/৩।
১৯তম ওভারে ফিরেছেন তাসকিন, তাঁর দ্বিতীয় বলে পুল করে চার মেরেছেন আভিস্কা ফার্নান্ডো। এ ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ৫০ তারা পেরিয়েছিল ৪০ বলে, পরের ৫০ করতে লাগল ৭২ বল।
প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন। পরের ২টি উইকেটও নেন তিনিই। তানজিমকে দিয়ে টানা ৬ ওভার করিয়েছেন নাজমুল। অবশেষে বিরতি দেওয়া হলো তাঁকে। তাঁর প্রান্ত থেকে আনা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। প্রথম ওভারে মিরাজ দিয়েছেন মাত্র ১ রান। আসালাঙ্কা ও মেন্ডিসের জুটিতে প্রথম ৪০ বলে উঠেছে ১৯ রান।
২০ ওভারে ১০৩/৩।
দুই ব্যাটসম্যান সতর্ক। এর মধ্যে তাসকিনকে সরিয়ে সৌম্যকে আনলেন নাজমুল। তাঁর বিপক্ষেও সতর্ক থাকলে কয়েক ওভার বের হয়ে যাবে। আর ঝুঁকি নেওয়ার আমন্ত্রণ তো আছেই।
এ স্পেলেও তাসকিন সুবিধা করতে পারেননি খুব একটা।
২৩ ওভারে ১২০/৩।
আপাতত ধীরলয়ে এগোচ্ছে ম্যাচ। আসালাঙ্কা ও মেন্ডিস সতর্ক, অবশ্য সুযোগ পেলে শট খেলার চেষ্টা করছেন। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৭১ বলে ৪৩ রানে। এখন পর্যন্ত দুই স্পিনার—তাইজুল ও মিরাজকে একসঙ্গে করাননি নাজমুল।
২৫ ওভারে ১২৭/৩।
প্রথম ওভার থেকেই হুমকি তৈরি করছিলেন মিরাজ। এবার সফল হলেন। আসালাঙ্কা হয়ে পড়েছিলেন স্কয়ারড-আপ, খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা মিরাজের বল মিস করে গেছে তাঁর আউটসাইড-এজ। আসালাঙ্কা হয়েছেন বোল্ড। মেন্ডিসের সঙ্গে আসালাঙ্কা সতর্ক থেকে জুটি গড়লেও সেটি থামল ৪৪ রানে। ১২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
মিরাজ সফল হওয়ার পর আরেক প্রান্তে তাইজুলকে আনলেন নাজমুল, ইনিংসে প্রথমবারের মতো। তবে তাইজুলকে ছক্কা মেরে স্বাগত জানিয়েছেন নতুন ব্যাটসম্যান জানিত লিয়ানাগে। ইনিংসে তাইজুলের বলে এটি তৃতীয় ছক্কা।
২৭ ওভারে ১৪০/৪।
আবার লিয়ানাগে। কাউ কর্নার দিয়ে মেরেছেন। ইনিংসে তাইজুলের বলে এটি চতুর্থ ছক্কা। ওয়ানডেতে ফেরার ম্যাচে প্রথম ভাগটা সুখকর হলো না তাইজুলের, প্রথম ৬ ওভারে এ বাঁহাতি স্পিনার দিয়েছেন ৪২ রান। আসালাঙ্কা ফেরার পর লিয়ানাগের সঙ্গে জুটি গড়ে উঠছে মেন্ডিসের। এটি অবশ্য এগোচ্ছে বেশ ভালো গতিতেই। প্রথম ৩৪ বলে উঠেছে ৩৩ রান।
৩১ ওভারে ১৬১/৪।
মিরাজ ও মুশফিক বেশ উত্তেজিত ছিলেন। তবে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা নন। নাজমুল দুজনের সঙ্গে কথা বলে নেন রিভিউ।
লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে যান লিয়ানাগে। বল ট্র্যাকিং-ও নিশ্চিত করেছে সেটি। ঠিক কীসের শব্দ শুনেছেন মুশফিক, তা অবশ্য নিশ্চিত নয়। আল্ট্রা-এজে কিছু দেখায়নি, বল ও ব্যাটের মধ্যে ফাঁক ছিল পরিষ্কার।
ইনিংসে প্রথম রিভিউ এটি। যা হারাল বাংলাদেশ।
৩২ ওভারে ১৬৭/৪।
তানজিমকে ফিরিয়েছেন নাজমুল। দ্বিতীয় স্পেলের শুরুতেই সুযোগ তৈরি করেছিলেন প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট নেওয়া পেসার। সেটি অবশ্য বাজে বলেই।
স্লোয়ার করেছিলেন তানজিম, তবে শর্ট করায় বেশ সময় পান মেন্ডিস। টেনে মারেন মিডউইকেটের দিকে। ছুটে এসে তাতে হাত প্রায় লাগিয়েছিলেন শরীফুল, শেষ পর্যন্ত সফল হননি।
এ ওভারেই ফিফটি হয়ে গেছে মেন্ডিসের। ৬৭ বলে মাইলফলকে গেলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। তিনি জানেন, কাজ শেষ হয়নি এখনো।
৩৩ ওভারে ১৭৪/৪।
আসালাঙ্কা ফেরার পর নেমেছিলেন। লিয়ানাগে বেশ ইতিবাচক এখন পর্যন্ত। অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ রান উঠে গেছে, ৫৫ বলেই। তাতে লিয়ানাগের অবদান ৩৩ বলে ২৯ রান। আরেকটি ব্রেকথ্রুয়ের খোঁজে দিনে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা দুই বোলার তানজিম ও মিরাজকে দিয়ে করাচ্ছেন নাজমুল।
জুটিটা এগোচ্ছিল বেশ ভালোভাবে। তানজিম, মিরাজ ভাঙতে পারেননি সেটি। ভাঙলেন তাসকিন। লেংথ থেকে টেনে মারতে গিয়েছিলেন মেন্ডিস, মিড অনে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুলকে পার করাতে পারেননি শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। তিনি আউট ৭৫ বলে ৫৯ রান করে, লিয়ানাগের সঙ্গে জুটি ভেঙেছে ৬৯ রানে। ৪০তম ওভারের আগে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, যে ব্রেকথ্রু বেশ দরকার ছিল স্বাগতিকদের।
৩৮তম ওভারে ২০০ পেরিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
তাসকিনের ওপর এরপর চড়াও হয়েছেন হাসারাঙ্গা। দুবার শর্ট বলের চেষ্টা করেছিলেন তাসকিন। প্রথমে ওয়াইড লং অন দিয়ে টেনে চারের পর মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেছেন হাসারাঙ্গা। এ স্পেলে সফল হলেও তাসকিন আবার করলেন খরুচে ওভার। ৩৯তম ওভারের শেষ ৩ বল ডট দিলেও দিয়েছেন ১১ রান।
১১ ওভার বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কা ২১৫/৫।
যে সময় নেমেছিলেন, শ্রীলঙ্কার অবস্থা খুব একটা সুবিধার ছিল না। তবে নামার পর থেকেই দারুণ ইতিবাচক লিয়ানাগে। আরেক প্রান্তে অধিনায়ক মেন্ডিস ফিরলেও তিনি আছেন এখনো, ৫০ বলে পেয়ে গেলেন ফিফটি। ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি।
৪০ ওভারে ২২০/৫।
তাসকিনের ওপর আস্থা রেখেছেন নাজমুল। তাসকিন দিলেন সে আস্থার প্রতিদান।
তাসকিন আবার করলেন শর্ট। এবার র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে ডিপ থার্ডে মিরাজের হাতে ধরা পড়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তৃতীয় পাওয়ারপ্লেতে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডার থাকতে পারেন বৃত্তের বাইরে, হাসারাঙ্গা ধরা পড়লেন সেখানেই। দিনটা বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধার যায়নি তাসকিনের, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট এনে দিলেন তিনিই!
আগের বলটি ছিল শরীর বরাবর শর্ট লেংথে। সে দফা বেঁচে যান তিকশানা। পরের বল আবার শর্ট লেংথ, এবার একটু অফ স্টাম্পের বাইরে। তিকশানা এবার আর বাঁচলেন না। স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েছেন। ২২৫ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাসকিন পেয়েছেন তৃতীয় উইকেট।
মাদুশান রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে তিনিও ঠিক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না।
মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেছিলেন, শরফুদ্দৌলা একটু সময় নিয়ে দেন আউট। অবশ্য বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি মিস করে যেত লেগ স্টাম্প!
বেঁচে গেলেন মাদুশান।
শরীফুলের বলে দুটি চার পেতে পারতেন লিয়ানাগে। কিন্তু ডিপ থার্ডে দারুণ ফিল্ডিং করে দুবারই বাউন্ডারি বাঁচিয়েছেন হৃদয়। প্রথম ডানদিকে ছুটে গিয়ে, পরেরবার বাঁদিকে। হৃদয় বাঁচিয়েছেন অন্তত ৫ রান। ২৭০-এর মতো স্কোরের মূল আশা এখন তাদের লিয়ানাগে। তিনি থাকলে হয়তো আরেকটু বেশিও আশা করতে পারে তারা।
৫ ওভার বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কা ২৩৮/৭।
নিজের নবম ওভার করছিলেন তানজিম। ৪ বল করার পর খোঁড়াতে খোঁড়াতে উঠে গেলেন। দেখে মনে হয়েছে ডান পায়ে ঝামেলা। তানজিমের অসমাপ্ত ওভার শেষ করেছেন সৌম্য।
লিয়ানাগাকে সামনে আসতে দেখেছিলেন, তা দেখে করলেন শর্ট লেংথে। শরীফুলের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন লিয়ানাগে। ইনিংস শেষ করে আসতে পারলেন না, তবে শ্রীলঙ্কাকে এত দূর আনার পেছনে বড় অবদান তাঁর ৬৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংসের।
শ্রীলঙ্কা ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫
আরেকটি শর্ট বল। আরেকটি উইকেট। এবার শরীফুলের বলে টপ-এজড হয়েছেন প্রমোদ মাদুশান। ৩ বল পর কাভার পয়েন্টে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম, একটু আগে যিনি উঠে গিয়েছিলেন চোট নিয়ে। শরীফুল পেয়েছেন তৃতীয় উইকেট। ২৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
টসে জিতে অনুমিতভাবে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পাতুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্ডো তাদের এনে দিয়েছিলেন ঝোড়ো শুরু। তবে তানজিম হাসান আক্রমণে আসার পর থেকে বদলাতে শুরু করে চিত্র। দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে চাপে ফেলেন তিনি শ্রীলঙ্কাকে। তানজিমের পর মাঝে শ্রীলঙ্কার ক্ষতি করেন মিরাজ ও তাসকিন। আর শেষে এসে শরীফুল।
কুশল মেন্ডিস একদিকে উইকেট ধরে রেখেছিলেন। আসালাঙ্কা অবশ্য তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি তাঁকে। পরে লিয়ানাগে এসে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দলকে। মেন্ডিস ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি। লিয়ানাগেও শ্রীলঙ্কা এনে দিতে পারেননি ২৭০-এর মতো কোনো সংগ্রহ।
২৫৬ রানের লক্ষ্যে ম্যাচের মাঝপথে বেশ খুশিই হওয়ার কথা বাংলাদেশের।
টি–টোয়েন্টি সিরিজের মতো প্রথম ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে নেমেছেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। তবে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছেন লিটন।
দিলশান মাদুশঙ্কার গুড লেংথ থেকে একটু বাড়তি বাউন্সের বল ঠিকঠাক খেলতে পারেননি লিটন, ডেকে এনেছেন স্টাম্পে। নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন।
১ ওভারে ০/১।
মাদুশানের ফুললেংথের বলটা গিয়ে লেগেছিল নাজমুলের বুটে। আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা আবেদনে সাড়া না দেওয়ার পর রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে ইমপ্যাক্ট ছিল বেশি আগে, বলও মিস করে যেত স্টাম্প—হক আই দেখিয়েছে এমন। নাজমুল অক্ষত, প্রথম রিভিউ হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
২ ওভারে ১৪/১।
শটটি যেন খেললেন আউট হওয়ার আগেই। মাদুশঙ্কার শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন সৌম্য, টপ-এজে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন তিনি। ১৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকেই হারাল বাংলাদেশ। ম্যাচের মাঝপথে ২৫৬ রানের লক্ষ্যে খুব বেশি ঝামেলা হবে বলে মনে হচ্ছিল না, কিন্তু রান তাড়ায় বাংলাদেশ চাপে পড়ে গেল শুরুতেই।
২.৪ ওভারে ১৪/২।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে গোল্ডেন ডাকে লিটনের ওপর আছেন শুধু হাবিবুল বাশার—৭ বার।
প্রমোদ মাদুশানের বলে কী শট খেললেন, হৃদয়ই বলতে পারবেন সেটি। গুডলেংথেই ছিল, তবে হৃদয় সেটি খেলতে সময় নিলেন অনেক। তবে যতক্ষণে ব্যাট গেল, তার আগেই বল ঢুকে গেছে তাঁর রক্ষণ ভেদ করে। ষষ্ঠ ওভারে এসে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
৬ ওভারে ২৭/৩।
প্রথমে ড্রাইভ। এরপর অন দি আপে পাঞ্চ। আবার ফুললেংথে পেয়ে ড্রাইভ। ৪ বলের মধ্যে মাদুশঙ্কাতে ৩টি চার মারলেন মাহমুদউল্লাহ। উইকেট যে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন নয়, আরেকবার দেখা গেল সেটি। শুধু নিজেকে একটু সময় দিতে হবে এখানে। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে টানছেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল।
দশম ওভারের প্রথম বলে অবশ্য ক্যাচ তুলেছিলেন নাজমুল, বাড়তি বাউন্সের বলে কানায় লেগেছিল। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের ভাগ্য ভালো, ফিল্ডারের হাত পর্যন্ত পৌঁছায়নি সেটি। সে শটে নেওয়া সিঙ্গেলে ৫০ পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের।
প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষে বাংলাদেশ ৫৫/৩।
এ সময়ে শ্রীলঙ্কা ছিল ৭১/১।
২৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নাজমুল ও মাহমুদউল্লাহ যোগ করলেন ৫০ রান। দুজনের লাগল ৪৮ বল।
১৩ ওভারে ৭৩/৩।
সবচেয়ে কম রানের লক্ষ্য ছুঁতে না পারার রেকর্ডটি বাংলাদেশেরই। ২০১১ সালে পাকিস্তানকে ১৭৭ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর বাংলাদেশ।
আগের ওভারে হাসারাঙ্গাকে ছক্কা মেরেছিলেন। এবার কুমারার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুললেন মাহমুদউল্লাহ। মিডউইকেট থেকে ছুটে এসে দারুণভাবে সেটি নিয়েছেন দিলশান মাদুশঙ্কা। ৩৭ বলে ৩৭ রান করে থামলেন মাহমুদউল্লাহ, নাজমুলের সঙ্গে জুটি থামল ৬৯ রানে।
১০১ বলে ১০০ পূর্ণ হলো বাংলাদেশের। নাজমুল যে খুব ‘দৃঢ়’, তা নয়। তবে ভাগ্যকে পাশে পেয়েছেন ভালোভাবেই। এখন পর্যন্ত খেলছেন কার্যকরী ইনিংস।
চট্টগ্রামে শিশিরের প্রভাব স্পষ্টই। মাঝে চট দিয়ে সেটি কমানোর চেষ্টাও করা হয়েছে বিরতিতে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের হাতে তোয়ালে দেখা যাচ্ছে নিয়মিতই। স্বাভাবিকভাবেই শিশির মানে বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা, পাশাপাশি বলও স্কিড করবে বলে ব্যাটে আসবে আরেকটু ভালোভাবে। এমনিতে প্রথম ইনিংসেও বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল এটি।
মাহমুদউল্লাহর আউটের পর এবার মুশফিককে নিয়ে এগোচ্ছেন নাজমুল।
৪৯ রানে দাঁড়িয়ে তিকশানার শর্ট বলে ঘুরিয়ে খেলেছিলেন। হয়তো সিঙ্গেল পেতেন। মিসফিল্ডে পেলেন চার। ইনিংসে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন, মাইলফলকে যাওয়ার শটেও পেলেন তা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অধিনায়কের এটি টানা দ্বিতীয় ফিফটি, ক্যারিয়ারে নবম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তাঁর টানা তৃতীয়।
শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও দলের বিপদের সময় হাল ধরে ফিফটি করেছিলেন। তবে তিনি ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি। নাজমুল পারবেন?
২৩ ওভারে ১৩৭/৪
নাজমুল-মাহমুদউল্লাহর পর এবার নাজমুল-মুশফিকের জুটিতে ৫০ রান। ২৫ ওভারশেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৬/৪, এ সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১২৭/৩। রান তাড়া বলে মানসিক দিয়েও এগিয়ে থাকার কথা বাংলাদেশের। তবে একটি উইকেটে বদলে যেতে পারে চিত্রটা।
২৭ ওভারে ১৫৫/৪।
এ ইনিংসে এখন পর্যন্ত হাসারাঙ্গার বিপক্ষে মুশফিক—১৭ বল, ১৭ রান।
বিশ্বকাপে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। এ ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন। তবে চোট পেয়ে উঠে যেতে হলো তাঁকে। পানি-পানের বিরতির পর প্রথম ওভারটি করার কথা ছিল তাঁর। কুমারা উঠে যাওয়াতে আনা হয়েছে লিয়ানাগেকে। বাংলাদেশ ইনিংসে তানজিম উঠে যাওয়ার পর এসেছিলেন সৌম্য, পরে আরও ২ ওভার করানো হয়েছিল তাঁকে। তানজিম অবশ্য পরে মাঠে ফিরেছিলেন।
নাজমুলকে হাতছানি দিচ্ছে সেঞ্চুরি। মুশফিকের সঙ্গে তাঁর জুটি এগোচ্ছে সেঞ্চুরির পথে। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান নেমে এসেছে ১০০-এর নিচে (বেশ আগেই)। ১০৮ বলে দরকার ৭৮ রান।
আপডেট: ২৫ বল, ২৯ রান।
হাসারাঙ্গার সর্বশেষ ওভারের শেষ ২ বলে ২টি চার মেরেছেন মুশফিক। রিভার্স সুইপের পর টেনে মিডউইকেট দিয়ে।
তাসকিন ও শরীফুল যেভাবে শর্ট বল কার্যকরী করে তুলেছিলেন, শ্রীলঙ্কান পেসাররা ঠিক তা পারছেন না। ফলের পিচের অতিরিক্ত বাউন্সও কাজে লাগছে না সেভাবে।
সর্বশেষ নাজমুলের বিপক্ষে শর্ট বল করেছিলেন মাদুশান। তবে লাফিয়ে উঠে মিডউইকেটকে পরাস্ত করে চার মেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে শটে মুশফিকের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ১০০ রান উঠে গেছে। আবার শর্ট করেছিলেন, এবার মাটিতে রেখেছেন নাজমুল। যদিও তাতে ১ রানের বেশি আসেনি।
ওভারের শেষ বলে প্যাডের ওপর থেকে ঘুরিয়ে চার মেরে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুশফিক।
৩৫ ওভারে ১৯৯/৪।
কুমারার অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল। বলের ওপর চড়ে মারা শটে চার। নাজমুলের ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাতে। নাজমুলের লাগল ১০৮ বল। ৩৮ ওভারে বাংলাদেশ ২১৮/৪, ৭২ বলে দরকার ৩৮ রান।
লঙ্কানদের বিপক্ষে নাজমুলের ওয়ানডে ক্যারিয়ার—
৩ ম্যাচ।
২ ফিফটি।
১ সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি তাদের বিপক্ষেই পেয়েছিলেন নাজমুল। ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরিটিও পেলেন তাদের সঙ্গেই।
তিকশানাকে লং অফ দিয়ে টেনে চার নাজমুলের। তাতেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। ৩২ বল বাকি থাকতেই জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ২৩ রানে নেই ৩ উইকেট। ম্যাচের মাঝপথে ২৫৬ রানের লক্ষ্যকে যতটা সহজ মনে হচ্ছিল, শুরুর ওই ধাক্কায় সেটিকে মনে হচ্ছিল ততটাই কঠিন। তবে নড়বড়ে অবস্থা থেকে বাংলাদেশ প্রথম মাটি পায় নাজমুল ও মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ উইকেট জুটিতে। ভালো শুরুর পর মাহমুদউল্লাহ ফিরলেও বাংলাদেশের সমস্যা হয়নি আর। সেটি হতে দেননি নাজমুল ও মুশফিক।
রান তাড়ায় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি পেয়েছেন আরেকটি ফিফটি। দুজনের জুটি সাগরিকায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে নড়বড়ে অবস্থা থেকে সহজ জয়ের পথে।
শ্রীলঙ্কান বোলাররা শুরুতে সফল হলেও মাঝে নাজমুল-মুশফিকদের বিপক্ষে কার্যকরী হতে পারেননি। তাদের শর্ট বলের পরিকল্পনা ঠিক কাজে লাগেনি। শিশিরের কারণে ঝামেলায় পড়েছেন স্পিনাররাও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে দারুণভাবে খেলেছেন মুশফিক। মাঝে লম্বা সময় বাউন্ডারি আসেনি। কিন্তু মুশফিক ও নাজমুল রান রেটকে কখনোই চাপে পরিণত হতে দেননি।
দুজন গড়েছেন পঞ্চম উইকেটে যে কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটেও যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।