সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি সিলেট ও ঢাকা বিভাগ। সিলেটের ইনিংসের ১৫তম ওভারে উঠল ঝড়টা। ঝড় বললে অবশ্য কম বলা হয়, বলা উচিত টর্নেডো। জিশান আলমের সেই টর্নেডোতে লন্ডভন্ড হলেন ঢাকা বিভাগের অফ স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়র। এই অফ স্পিনারের করা ওভারের শেষ পাঁচ বলেই ছক্কা মেরেছেন সিলেটের ওপেনার জিশান।
লং অন-লং অফ-লং অন-ডিপ মিডউইকেট-ডিপ একস্ট্রা কাভার। নিখুঁত সব শটে বলগুলোকে সীমানাছাড়া করলেন জিশান। বোলার আরাফাত অবশ্য খুব ভালো করতে পারেননি। প্রথম তিনটি ছক্কা খাওয়ার পর তো শেষ দুই বলে খেই হারিয়ে ফুল টসই করে বসলেন। বুক বরাবর করা প্রথম ফুল টসটিকে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা। অফ স্টাম্পের বাইরে ভাসিয়ে দেওয়া পরের বলটি ডিপ একস্ট্রা কাভার দিয়ে মাঠের বাইরে।
এই ওভারের আগেই ৩টি ছক্কা মারা জিশান পরের ওভারে এক বল খেলে নিলেন সিঙ্গেল। পেসার সুমন খানের করা পরের ওভারের প্রথম দুই বৈধ বলেই আবারও ছক্কা জিশানের। তার মানে ৮ বলের মধ্যে ৭ ছক্কা!
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জিশান সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান নাজমুল ইসলামের করা পরের ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে। ৫২ বলে ১০০ ছোঁয়া ব্যাটসম্যান মুখোমুখি হওয়া পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান।
৫৩ বলে ৪ চার ও ১০ ছক্কায় ১০০—বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে মনে রাখতে হবে জিশানের ইনিংসটাকে।
জিশানের ঝড়ে ৪ উইকেটে ২০৫ রান তুলেছে সিলেট। ১৭ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করছেন দলটির অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বী।