ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাময় একটি ম্যাচ। ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৬৪ আর বল হাতে ১৭ রানে ৪ উইকেট—এমন পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে গল টাইটান্সের বিপক্ষে কতটা দাপুটে ছিলেন এ শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। হাসারাঙ্গার এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের দিনে দাপট দেখিয়েছে তাঁর দল বি লাভ ক্যান্ডিও। সাকিব আল হাসানের গলকে তাঁরা হারিয়েছে ৮৯ রানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বি লাভ ক্যান্ডি হাসারাঙ্গার ফিফটি, ফখর জামানের ৪৫ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ৪০ রানে তুলেছে মোট ২০৩ রান। জবাবে মাত্র ১১৪ রানে গুটিয়ে গেছে গল। আগের ম্যাচে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে উইকেট না পাওয়া সাকিব এই ম্যাচেও ছিলেন উইকেটশূন্য। ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন মাত্র ১১ রান।
২০৪ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬.৩ বলে ৪০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় গল। মূলত সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় গল। এরপর সাকিব ক্রিজে এসে কিছুই করতে পারেননি। দলীয় ৪৫ রানে অধিনায়ক দাসুন শানাকা আউট হওয়ার পর ৪৭ রানে ফেরেন সাকিব। হাসারাঙ্গার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি।
আগে ব্যাটিং করা গল শুরুটা করে দাপুটে। ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ১৪ বলে ১৭ রান করে আউট হলেও ফখর জামান ও দিনেশ চান্ডিমাল টি-টোয়েন্টি মেজাজেও রান তুলতে থাকেন।
১৭ বলে ২৫ রান করে চান্ডিমাল আউট হওয়ার ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ম্যাথুস। ফখর আউট হন ৩৫ বলে ৪৫ রান করে। এরপর ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন হাসারাঙ্গা, করেন ১৮ বলে ফিফটি। এই আসরে যা দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। হাসারাঙ্গার এমন ইনিংসে অনেকটা দর্শক হয়েই দেখতে হয়েছে সাকিবদের। এই আসরে দ্রত ফিফটির তালিকার দ্বিতীয় নামটিও হাসারাঙ্গার—জাফনার বিপক্ষে ২১ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি।
৯ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ৬৪ রানের ইনিংসের তাপ টের পেয়েছেন সাকিবও। প্রথম ২ ওভারে ১৪ রান দেওয়া সাকিব নিজের তৃতীয় ওভারে দেন ১৭ রান। ১ ছক্কা ও দুই চারে ১৭ রানই নেন হাসারাঙ্গা। এই হারে ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে সাকিবের গল। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ৩ জয়ে টেবিলের শীর্ষ দল বি লাভ ক্যান্ডি।