সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন

পেসারদের নিয়ে উল্টো আশার কথা শোনালেন নাজমুল

আফগানিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই তাদের মাটিতে নামিয়ে এনেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানে অলআউট করতে পারলেও ইংল্যান্ডের রান আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ।

দুটি ম্যাচের কোনোটিতেই খুব একটা ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। ইংল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৩৬৪ রান করেছে। তার মধ্যে তিন পেসার মিলে ২৬ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ১৮৩ রান। মোস্তাফিজ ১০ ওভার বোলিং করে ৭০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। শরীফুল ১০ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাসকিন একটি উইকেট পেয়েছেন ৬ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে।

বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে আশাবাদী নাজমুল হোসেন

ইংল্যান্ড ম্যাচের পর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মনের কী অবস্থা? বিশেষ করে পেসারদের। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে এসে নাজমুল হোসেন আজ জানালেন, ‘কোনো পেস বোলারই হতাশ নয়। সবাই ঠিক আছে। উইকেটটাই এমন, স্বাভাবিকভাবে রান একটু বেশিই দেবে।’

নাজমুল এরপর যোগ করেন, ‘আমরা সাধারণত দেখি না যে আমাদের পেসাররা ১০ ওভারে ৬০, ৬৫ বা ৭০ রান দিচ্ছে। সবাই জানে যে এখানে উইকেটটা ভালো। এখানে যত কম রানের মধ্যে (প্রতিপক্ষকে) রাখতে পারি, শুরুতে কীভাবে উইকেটটা বের করতে পারি, মাঝের ওভারে কীভাবে উইকেট নিতে পারি—সবার একটা পরিকল্পনা আছে। সেভাবে কাজ করছে।’

বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান

নাজমুলের বিশ্বাস, পেস বোলিংয়ে আরেকটু উন্নতি হলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল একেবারে খারাপ করবে না, ‘আমি বিশ্বাস করি, পেসাররা যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকে যদি ১০ শতাংশ উন্নতি করে, তাহলে বিশ্বকাপে আমরা অনেক দূর যেতে পারব।’

বাংলাদেশ দলের সহ–অধিনায়ক নাজমুল অবশ্য এখনই অত দূরের চিন্তা না করে আপাতত আগামীকালের ম্যাচটা নিয়েই ভাবতে চান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। এখানকার উইকেট কেমন, আর তাতে কীভাবে বাংলাদেশ খেলবে তা জানাতে গিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে দেখেছি উইকেট স্পিনারদের যথেষ্ট সাহায্য করছে। যদি উইকেট এমন থাকে, তাহলে সেটা আমাদের স্পিনারদেরও সাহায্য করবে। তবে আমরা উইকেট নিয়ে ভাবছি না। নিজেদের পরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন করতে হবে। করণীয় কী, সেটা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।’