পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানেরা প্রতি ম্যাচেই আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিচ্ছেন
পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানেরা প্রতি ম্যাচেই আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিচ্ছেন

ইংল্যান্ড করে ৮০০, বাংলাদেশও হারায়—পাকিস্তানের জন্য দোয়া চাইলেন শোয়েব আখতার

ঘরের মাঠে টানা ১১ টেস্টে জয় নেই। দিনের হিসাবে ১৩৩১ দিন। সর্বশেষ পাকিস্তান হেরেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটাও প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করে। টেস্টের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তান প্রথম দল হিসেবে প্রথম ইনিংসে ৫০০-এর বেশি রান তুলেও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে।

এমন হার দেখে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিজের হতাশা ঝেড়েছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। দলের কঠোর সমালোচনা করে এই পেসার বলেছেন, এখন শুধু পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য দোয়াই করা যেতে পারে।

পিটিভি স্পোর্টসে শোয়েব বলেছেন, ‘যা করেছেন তার ফল পাবেন। দশকজুড়েই আমি অধঃপতন দেখছি। পরিস্থিতি হতাশার। হারতেই পারে, কিন্তু খেলাটা অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। তবে গত দুই দিনে যা দেখেছি, তারা পুরোপুরিই আশা ছেড়ে দিয়েছে। এটাই দেখিয়ে দেয় আমাদের যথেষ্ট সামর্থ্য নেই। ইংল্যান্ড আমাদের সঙ্গে ৮০০–এর বেশি করে, বাংলাদেশও হারায়।’

ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়ক দুর্বল হলে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি হবেই। অধিনায়ক স্বার্থপর হলে, গ্রুপিং হবে। এমনটাই হবে, যদি কোচরা অধিনায়ককে ভয় পায়।
পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রে পাকিস্তান আছে তলানিতে। ৮ ম্যাচে তাদের জয় মাত্র ২টি। এ নিয়ে শোয়েব ক্ষোভ ঝেড়েছেন, ‘সমর্থকেরা বলছে টেস্ট থেকে পাকিস্তানের নাম প্রত্যাহার করা উচিত। আমাদের খেলা উচিত নয়। পাকিস্তানকে নতুন করে দল গঠনের জন্য দুই বছর সময় দেওয়া হোক। এমন অনেক মন্তব্য আমার কাছে এসেছে। অনেক দল ভাবছে, এমনকি আইসিসি ভাবছে, পাকিস্তানে কি দল পাঠিয়ে তাদের টেস্ট স্ট্যাটাস বাঁচিয়ে রাখা উচিত কি না। এই হার আসলে হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। এটা পাকিস্তান ক্রিকেট, সমর্থক ও আসন্ন প্রতিভার জন্য অনেক কষ্টের। পিসিবিকে অনুরোধ করছি বিশৃঙ্খলা ঠিক করতে।’

পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ। টানা ৬ টেস্টে তাঁর অধীনে হারার পর প্রশ্ন উঠেছে তাঁকে নিয়ে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও তাঁর রেকর্ড আহামরি কিছু নয়। ৩৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১০টি ফিফটি। ব্যাটিং গড় ৩০-এর একটু বেশি।

দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে ফিরেছেন রিজওয়ান

শোয়েব কথা বলেছেন পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব নিয়েও, ‘আপনার ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়ক দুর্বল হলে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি হবেই। অধিনায়ক স্বার্থপর হলে, গ্রুপিং হবে। এমনটাই হবে, যদি কোচরা অধিনায়ককে ভয় পায়। আসলে আমাদের জন্য এই হার মেনে নেওয়াটা কঠিন। পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টে ও তৃতীয় টেস্টে জিতবে, এমন কোনো আশা আমার নেই। তবে উন্নতি করুক, এটুকু আশা আমি করতে পারি। পাকিস্তান ক্রিকেটে গত ৫-১০ বছরে কী অবস্থা, সেটা আপনার জানা। কোথায় আমরা আছি, কেন এখানে আছি। এখন শুধু দোয়াই করা যেতে পারে।’