সাজিদ খান
সাজিদ খান

সাজিদের উর্দুর ‘টোপ’, রেহানের দাবি তাতে কাজ হয়নি

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়ায় ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার শোয়েব বশির ও রেহান আহমেদ উর্দুটা ভালোই বোঝেন। এই উর্দুজ্ঞান নিয়ে প্রথম দুই টেস্টে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলার কথাও জানিয়েছিলেন দুজন। তবে তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তান ব্যবহার করেছে অন্য কৌশল।

শোয়েব–রেহানকে উর্দুতে ভুল তথ্য দিয়েছেন সাজিদ খান ও সৌদ শাকিল। ইংল্যান্ডও নাকি সেই ফাঁদে পা দিয়েছে। গতকাল রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে এমনটাই দাবি পাকিস্তানের স্পিনার সাজিদ খানের।

কীভাবে ইংল্যান্ডকে ফাঁদে ফেলেছেন, সেটা শুনুন স্পিনার সাজিদের মুখেই, ‘আমরা এটা করছিলাম (জোরে জোরে উর্দুতে কথা বলা) বোলারদের বোকা বানাতে। রেহান ও শোয়েব উর্দু বোঝে, তাই ওদেরকে বোকা বানাতে শুধু এক রান নিয়ে খেলার কথা বলছিলাম, চেয়েছি ওরা যেন এই কথা শোনে। যখন এটা করলাম, তারা ফিল্ডিং কাছে নিয়ে এসেছে, বোলাররা হাওয়ায় ভাসিয়ে বোলিং করেছে। সৌদ আমাকে বলেছিল, ওরা এটা করলে হাফশট নয়, যত জোরে পারো বড় শট খেলো।’

পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৪৮ রান করেছিলেন সাজিদ

শোয়েবের করা ম্যাচের ৮৬তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রান্ত বদল করেন শাকিল। স্ট্রাইকে যান সাজিদ। তখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা গেছে তাঁদের। সেখানে সাজিদকে ওভারের বাকি দুই বল দেখে খেলার কথা বলা হয়।

তবে সাজিদ উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে ছক্কা মেরে বল পাঠান জাভেদ মিঁয়াদাদ স্ট্যান্ডে। মাঝে এক ওভার পর শোয়েবের পরের ওভারে পাকিস্তান তোলে মোট ১৯ রান। দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন সাজিদ।

রেহান আহমেদ

সাজিদের কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার ব্যাপারটি অবশ্য অস্বীকার করেছেন স্পিনার রেহান। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে রেহান বলেছেন, ‘সে আমাকে বোকা বানাতে পারেনি। মিডিয়ার জন্য সে এই কথা বলেছে। এমনকি তার কথাই শুনিনি। আমি জানতাম, সে স্কুপ করার চেষ্টা করবে, এটা কাজেও লাগেনি। আমার মনে হয় সে ভালো ব্যাটিং করেছে, বড় শট খেলেছে, কিন্তু সে আমাকে বোকা বানাতে পারেনি।’