বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, নয়তো এশিয়া কাপ—প্রায় এক দশক ধরে এসব টুর্নামেন্টেই দেখা হচ্ছে ভারত–পাকিস্তানের। অন্যান্য দলের সঙ্গে ভারত আর পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে নিয়মিত, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে খেলে না।
এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আগ্রহী থাকলেও সম্মতি দেয় না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য সরকারের অনুমতি লাগবে জানিয়ে বরাবরই এড়িয়ে গেছে ভারতীয় বোর্ড।
তবে এবার কিছুটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিসিসিআই। আগামী বছর এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তানে। মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতায় খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠানোর কথা ভাবছে বিসিসিআই। ১৮ অক্টোবর মুম্বাইয়ে হবে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা। এরই মধ্যে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোর কাছে সভার আলোচ্যসূচি পাঠিয়েছে বিসিসিআই।
২০২৩ সালে ভারত খেলবে—এমন টুর্নামেন্টগুলো নিয়ে আলোচনা হবে সেই সভায়। আলোচনার তালিকায় আছে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ২০২৩ এশিয়া কাপও।
তবে বিসিসিআই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলেও পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত সরকারই নেবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করে তিনি ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘সব সময়ের মতো এ ক্ষেত্রেও ভারত সরকারের ছাড়পত্র লাগবে।’
ভারত–পাকিস্তান সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয়েছে ২০১২–১৩ মৌসুমে। সেবার ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান। আর ভারত সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ২০০৮ সালে। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর টেস্ট খেলুড়ে সব দেশই পাকিস্তান সফর এড়িয়ে যেতে শুরু করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত আইসিসির টেস্ট দলগুলোর কোনোটিই পাকিস্তানে খেলতে যায়নি।
ওই সময় পাকিস্তানের হোম সিরিজ আয়োজন করা হতো আরব আমিরাতের মাটিতে। তবে সেখানেও পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে রাজি ছিল না ভারত। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের শীতলতার কারণে হয়নি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ।
এখন মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে ভারত দল যাবে কি না, সেটই দেখার বিষয়। এশিয়া কাপের আয়োজক এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ। সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের মাঝামাঝি পাকিস্তানে হবে এশিয়া কাপ, এরপর ভারতের মাটিতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।