পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়ক বাবর আজম
পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়ক বাবর আজম

বাবরের নেতৃত্ব হারানোর গুঞ্জন, যা বললেন পিসিবিপ্রধান নাকভি

পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘সার্কাস’ যেন কখনোই থামার নয়। সাম্প্রতিক সময়ে বেশি ‘সার্কাস’ হচ্ছে নেতৃত্ব নিয়ে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন বাবর আজম। পরে আবার তাঁকে সাদা বলে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এখন আবার বাবরকে তাঁর সাম্প্রতিক বাজে ফর্মের কারণে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাঁর জায়গায় মোহাম্মদ রিজওয়ান সাদা বলে পাকিস্তানের অধিনায়ক হতে পারেন বলেও দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর।

বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন পিসিবির প্রধান মহসিন নাকভিকে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ কতটা এগিয়েছে, সেটা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পিসিবিপ্রধান। সেখানেই নাকভিকে বাবরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। নাকভি যা বলেছেন, তার সারমর্ম এ রকম—দল গঠন বা অধিনায়কত্ব পরিবর্তন নিয়ে তিনি কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না। এ বিষয়ে কোনো দায় নিতেও রাজি নেই নাকভি।

পাকিস্তানের সাদা বল ক্রিকেটের অধিনায়ক বাবর আজম ও পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি

সাংবাদিকদের নাকভি বলেন, ‘আমি বিষয়টি তাদের (কোচ ও নির্বাচক) ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ২২ সেপ্টেম্বর একটি কর্মশালা আছে। সেখানে নিজেদের মতামত দেওয়ার জন্য সবাই আমন্ত্রিত। এর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

নাকভি এরপর নিজের দায়মুক্তির বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি জানি যে কোনো ভুল হলে আমাকেই দায় দেওয়া হবে। দল যদি ভালো না খেলে, নির্বাচকেরা যদি দল নির্বাচনে ভুল করে অথবা কোচ যদি হেরে যায়; এসবের দায় আমার ওপরই পড়বে।’

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংস্কার চলায় ইংল্যান্ড সিরিজের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলঙ্কায় হতে পারে বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে নাকভি বলেছেন, ‘কোনো টেস্টই (দেশের) বাইরে হবে না। মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডি ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত। ইংল্যান্ডের বোর্ডের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কোনো সমস্যা নেই।’

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের সর্বশেষ খবর জানাতে গিয়ে নাকভি বলেছেন, ‘ভিত্তি পর্যায়ের কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। প্রতিটি তলার কাজ শেষ হতে তিন সপ্তাহ করে লাগবে। প্যাভিলিয়ন স্টিল দিয়ে তৈরি করা হবে এবং মূল বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। এর মধ্যেই বাকি সব কাজও শেষ করা হবে।’

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে কেন্দ্র করে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি–মার্চে লাহোরসহ পাকিস্তানের তিন ভেন্যুতে আট দলের টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। তার আগে আগামী মাসে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে তিন টেস্ট সিরিজে আতিথেয়তা দেবে পাকিস্তান।