ইয়ান বিশপ যথার্থই বলছিলেন, এবারের আসরের ‘কামব্যাক প্লেয়ার অব দ্য সিজন’ গুজরাট টাইটানসের মোহিত শর্মা। ফাইনালের শেষ ওভারে বোলিং করার সময় এই আসরে ২৭ উইকেট নেওয়া মোহিতকে নিয়ে ইয়ান বিশপ বলেছিলেন, ‘ফলাফল যা–ই হোক না কেন, কামব্যাক প্লেয়ার অব দ্য সিজন মোহিত শর্মা।’
আত্মবিশ্বাসী ও ছন্দে থাকা এই পেসারকে শেষ ওভারে কী পরামর্শ দিতে চেয়েছিলেন গুজরাট কোচ আশিস নেহেরা? সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট–বিশ্লেষক সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার এবং টম মুডি এমন সময় পরামর্শ দিতে চাওয়ার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মোহিত শর্মা ফাইনালের শেষ ওভারের প্রথম চার বলে দিয়েছিলেন মাত্র ৩ রান। প্রথম তিনটা বলই ছিল দুর্দান্ত ইয়র্কার। চতুর্থ বলটি লো ফুলটস থাকলেও শিবম দুবে এক রানের বেশি নিতে পারেননি। তখন চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ বলে ১০ রান। যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই কাজটা কঠিন। কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়, যখন ম্যাচটা হয় প্রায় ৭৫ হাজার দর্শকের সামনে, আইপিএল ফাইনাল।
অর্থাৎ যেকোনো বিচারেই তখন অনেক অনেক এগিয়ে ছিল গুজরাট। ছন্দ ছিল মোহিতের পক্ষে। এমন সময় কাল ড্রিংকস আর পরামর্শ নিয়ে একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটারকে মাঠে পাঠান নেহেরা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও কথা বলেন মোহিতের সঙ্গে। এরপর যে দুটি বল মোহিত করেছেন সেই দুই বলই নিজের লেংথ মিস করেছেন।
ক্রিকইনফোর পোস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠানে সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তিনটা দুর্দান্ত ইয়র্কার, তা–ও বিধ্বংসী দুই ব্যাটসম্যানের সামনে। এই সময়ে মাঠে ড্রিংকস নিয়ে আসা হলো। যখন আবার সে বোলিং মার্কে যাচ্ছিল, মোহিতকে কিন্তু শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী লাগছিল। কেন শুধু শুধু ছন্দটা নষ্ট করা হলো? ধোনি হলে উইকেটের পেছন থেকে কিছু করত না, বোলারকে তার মতো বল করতে দিত। বলছি না, তারা এই কারণেই হেরেছে। তবে আমার মনে হয় না এটা ভালো কৌশল ছিল।’
এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন টম মুডিও, ‘ওভারের মধ্যেই ড্রিংকস আনা হলো? এমন কী হয়েছিল সেখানে।’ এরপর মুডির কথার প্রেক্ষিতে আবার মাঞ্জেরেকার বলেছেন, ‘হয়তো কোনো সিনিয়র বোলার হলে বলতে পারত, “দরকার নেই, আমি ঠিক আছি।” কিন্তু মোহিত শর্মা তো সবার কথাই শোনে।’