বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন
বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন

টি–টোয়েন্টিতেও দুর্বলতা দেখছেন সালাহউদ্দীন

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডেতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বাংলাদেশ দলের। যদিও এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ফল বলছে উল্টোটা। এই সফরে ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হওয়া বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে, টি-টোয়েন্টিতে আবার ধবলধোলাই ফেরতও দিয়েছে।

তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩–০–তে জিতলেও এই সংস্করণে এখনো বাংলাদেশের অনেক উন্নতির জায়গা দেখছেন দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। সঙ্গে খেলোয়াড়দের মানসিক পরিবর্তনও দেখছেন তিনি। দেশে ফিরে সাংবাদিকদের আজ এ কথা বলেছেন সালাহউদ্দীন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০–তে হারানো বাংলাদেশই এর আগের সিরিজে ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে। সেটা মাথায় রেখেই হয়তো সালাহউদ্দীন বলেছেন, ‘আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে, সেটা সবার সামনে বলা ঠিক হবে না। দুর্বলতা আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। টি-টোয়েন্টিতে জিতলেও অনেক দুর্বলতা আছে। অনেক জায়গা আছে যেখানে তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে হবে। আমার মনে হয় না খুব বেশি সময় নেওয়া উচিত।’

ফিরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে পারফর্ম করা জাকের

বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সালাহউদ্দীন আগেও ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ে দলের ফিল্ডিং কোচ ও সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই দলের খেলোয়াড় আর এই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন, এমন প্রশ্নে সালাহউদ্দীনের উত্তর, ‘পার্থক্য তেমন দেখি না। সবাইকে মনে হয়েছে অনেক মোটিভেটেড। তারা ভালো করতে চাচ্ছে। বুঝতে পারছে যে বাংলাদেশের এই পর্যায়ে থাকা শোভা পায় না। নিজেদের অনেক ওপরে তুলতে হবে—এই উপলব্ধিটা এসেছে। হয়তো আগেও ছিল, এখন আমার চোখে পড়েছে। সঠিক গাইডলাইন দিতে পারলে মনে হয় ছেলেরা ভালো করবে।’

দেশে ফিরেছেন নাসুম, তানজিদরা

ওয়েস্ট ইন্ডিজে দারুণ এক সফর শেষে বাংলাদেশ দল দেশে ফিরছে চার ভাগে। আজ সকালে প্রথম ভাগে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, জাকের আলী ও নাহিদ রানা। বিকেলে ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সঙ্গে এসেছেন তানজিদ হাসান, নাসুম আহমেদ ও পারভেজ হোসেন। আরও দুই ভাগে বাকিদের ফেরার কথা আগামীকাল সকাল ও রাতে।