মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ইবাদত হোসেন
মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ইবাদত হোসেন

ভারত সফরে থাকবেন ইবাদতও

চোটের কারণে এক বছরের বেশি সময় খেলার বাইরে ছিলেন ইবাদত হোসেন। হাঁটুর জটিল অস্ত্রোপচার ও দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে বোলিংয়ে ফিরেছেন তিনি। যদিও শতভাগ দিয়ে বোলিং ফেরার আগে ইবাদতকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফরে দলের সঙ্গে থাকবেন ইবাদত। জাতীয় দলের কোচ, ফিজিও ও ট্রেনারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতেই ইবাদতকে দলের সঙ্গে রাখা হবে।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইবাদত নিজেই। চোটের বর্তমান অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে ফিজিও, ট্রেনার ও ফাস্ট বোলিং কোচ যে প্রোগ্রাম দিয়েছেন, সেটা ফলো করছি। এখনো ১০০% সামর্থ্য দিয়ে বোলিং করার অনুমতি দেয়নি। আমি ৭০-৮০%, এ রকম কাছাকাছি সামর্থ্যে কাজ করছি। আমাকে হয়তো ভারত সফরে দলের সঙ্গে নেওয়া হবে। সেখানে বোলিং সাপোর্টটা পাব, ডাক্তার, ফিজিও, ট্রেনার…সব সাপোর্ট পাব। সেখানে গিয়ে আমার ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখবে, এরপর সিদ্ধান্ত নেবে।’

দ্রুত উন্নতি হলে ভারতেই ম্যাচ খেলে ফেলতে পারেন ইবাদত। তা না হলে আগামী ১৫ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি, ‘ফিটনেসটা ওইভাবে যদি উন্নতি হয়, ম্যানেজমেন্ট যদি সন্তুষ্ট হয়, যদি ওখানে খেলিয়ে দেয়, তাহলে খেললাম। যদি না হয় তাহলে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আছে, সেগুলো খেলব।’

ভারতে ইবাদতের মধুর স্মৃতিও আছে। ২০১৯ সালের ভারত সফরে বিরাট কোহলিকে আউট করে সেই বিখ্যাত ‘স্যালুট’ দিয়েছিলেন তিনি। আজ সে স্মৃতিচারণাও করলেন ইবাদত, ‘বিরাট কোহলিকে দুবার আউট করেছি, এটা আমার গর্বের ব্যাপার। আমি যত উইকেটই নিয়েছি, বেশির ভাগই বড় বড় উইকেট। আমার ডায়েরি খুললে ভালোই লাগে। এদের আমি আউট করেছি। ভালোই লাগে দেখতে। দেখা যাক, ভারত যাই, যদি সুযোগ হয় তাহলে খেলার চেষ্টা থাকবে।’

কদিন আগেই পেস বোলারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। সুস্থ থাকলে ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ ছিল ইবাদতেরও, যেমনটা হয়েছিলেন ২০২২ সালের মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জিতিয়ে। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও ইবাদত স্বপ্ন দেখছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের, ‘আফসোস হয়। আমি ১৩ মাস খেলার বাইরে। এমন একটা চোটে পড়েছি, সুস্থ হতে অনেক লম্বা সময় লাগছে। খেলোয়াড় হিসেবে বাইরে থাকা অনেক কষ্টের। তবে মনে হয় না বেশি দিন লাগবে সুস্থ হতে। আমিও খেলব। ভালো করার চেষ্টা করব।’

এক বছরের বেশি সময় ধরে খেলার বাইরে ইবাদত হোসেন

ফাস্ট বোলিং বিভাগের প্রতিযোগিতার উত্তাপটাও টের পাচ্ছেন তিনি, ‘অনেক সুস্থ একটা প্রতিযোগিতা। আমি চাই এমন ফাস্ট বোলার আরও ৭ জন থাকুক। তখন আমার নিজের ভালো করার তাগিদ থাকবে। তাসকিন বাংলাদেশের সেরা বোলার। মোস্তাফিজ ওয়ান অব দ্য বেস্ট কাটার মাস্টার। বিশ্বে ওর মতো কাটার কেউ মারতে পারে না। নাহিদ রানা বাংলাদেশের দ্রুততম বোলার। তানজিম সাকিব, খুবই ভালো অবস্থায় আছে। এই যে একটা প্রতিযোগিতা, আমি চাই এটা সব জায়গায় থাকুক। তাহলে আমাদের উন্নতি এমনিতেই হবে। তখন দেখবেন সবার খেলার ধরন বদলে যাবে।’