মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রতি মুগ্ধতা মাতিশা পাতিরানার অনেক আগে থেকেই। শ্রীলঙ্কান এই পেসারের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ধোনির প্রতি যারপরনাই কৃতজ্ঞ, গত বছর দেখাও করে করেছিলেন তাঁরা।
এবার পাতিরানা যা বলেছেন, তাতে ধোনির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাবোধ আরও প্রবলভাবে ফুটে উঠেছে। চেন্নাই সুপার কিংসে খেলা এই পেসার দল থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে বলেছেন, ক্রিকেট জীবনে ধোনি তাঁর বাবার মতো।
চেন্নাই সুপার কিংসের হলুদ জার্সি গায়ে দিলেই যেন বদলে যান পাতিরানা! এই পাতিরানাই শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলার সময় অনেক ম্যাচেই থাকেন খরুচে। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভালো করতে পারেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তো ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৬ রান।
সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার হয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ১১ উইকেট নিলেও রান খরচ করেছেন ওভারপ্রতি ৯.৫৫ করে। অথচ চেন্নাইয়ের জার্সি গায়ে দিলেই যেন ইয়র্কারগুলো ঠিক জায়গায় পড়ে পাতিরানার। অনেকেই এর পেছনে ধোনির কৃতিত্ব দেখেন।
গত আসরে ডেথ ওভারে সর্বোচ্চ ১২ ইনিংসে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন পাতিরানা। ওভারপ্রতি খরচ করেছিলেন ৮ রান। এই সময়ে কমপক্ষে ৯০ বল করেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এবারও দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন। চোটপ্রবণতা থাকায় ম্যাচ খেলছেন বেছে বেছে। এবার ৬ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৩টি, রান উৎসবের মধ্যেও দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৭.৬৮ করে।
এমন পারফরম্যান্সের পেছনে ধোনির যে অবদান কতটা, তা তো পাতিরানার কথাতেই স্পষ্ট, ‘বাবার পর ক্রিকেট–জীবনে ধোনিই মূলত আমার বাবার ভূমিকা পালন করছেন। কারণ, তিনি আমার দেখাশোনা করেন, উপদেশ দেন যে আমার কী করতে হবে, ঘরে থাকলে ঠিক বাবা যেমনটা করেন।’
ধোনির সঙ্গে পাতিরানার কাজের ধরন নিয়ে পাতিরানা বলছেন, ‘তিনি আমাকে মাঠ ও মাঠের বাইরে খুব বেশি কিছু বলেন তা নয়। কমই বলেন, সেটাই পার্থক্য গড়ে দেয়। ওই অল্প কিছু কথা থেকেই অনেক আত্মবিশ্বাস পাই। মাঠের বাইরে খুব বেশি কথা হয় না আমাদের। তবে যদি কোনো কিছু তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করার থাকে, সেটা তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি। প্রতিবারই তিনি আমাকে বলে খেলাটা উপভোগ করো, নিজের শরীরের যত্ন নাও।’
চেন্নাইয়ে এখন পর্যন্ত তিন মৌসুম মিলিয়ে পাতিরানা খেলেছেন ২০টি ম্যাচ, উইকেট নিয়েছেন ৩৪টি।