অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের চতুর্থ বলে প্রথম কোনো বলের মুখোমুখি হন মিচেল মার্শ। শাহিন আফ্রিদির সেই বলটি ছিল ইনসুইংগার। মার্শ ব্যাট চালান, কিন্তু বল চলে যায় উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। আফ্রিদি এটাকে ক্যাচই মনে করেছিলেন। কিন্তু তিনি ছাড়া আর কেউ আবেদনই করেননি।
মিচেল মার্শ তখন কী মনে করেছিলেন বা তাঁর দিনটা কেমন যাবে ভেবেছিলেন! কারণ, মার্শের জীবনে আজকের দিন বা তারিখটা যে বিশেষ। নিজের জন্মদিন বলে কথা! যে করেই হোক, বিশেষ দিনটাকে রাঙাতে হবে—এমনটা ভাবতে ভাবতেই হয়তো আফ্রিদির পরের বলটার মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্শ।
এক পা এগিয়ে এসে আফ্রিদির বলটি লং অফের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন মার্শ। এই যে শুরু, বলতে গেলে আর থামেননি তিনি আউট হওয়ার আগে। শাহিন আফ্রিদিরই বলে উসামা মিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক করেছেন মার্শ। ১০৮ বলে ১২১ রানে থামা ইনিংসটিতে মেরেছেন ১০টি চার ও ৯টি ছয়।
সব মিলিয়ে কী দারুণই না কাটল মিচেল মার্শের ৩২তম জন্মদিনটা! কেমন লেগেছে তাঁর—ইনিংস শেষে মাঠে নেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মার্শকে। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ জন্মদিন। এটাকে (সেঞ্চুরি) উপহার হিসেবে পাওয়াটা দারুণ।’
নিজের ইনিংসটি নিয়ে এরপর মার্শ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম, এটা বড় স্কোরের মাঠ। আমি এখানে অনেক খেলেছি এবং (সেঞ্চুরি) মিস করেছি। শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলাম। সেটা হয়নি, তবে খুশি। এমনিতে আমি সেঞ্চুরি সেভাবে উদ্যাপন করি না। তবে আজ কিছুটা করেছি।’