চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি হাতে পাকিস্তানের তখনকার অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ
চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি হাতে পাকিস্তানের তখনকার অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ

ভারতকে হারানো সেই পাকিস্তান দলের অনেকের ‘তখনো দুধের দাঁতও পড়েনি’

সেদিনের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিশ্চিত ফেবারিট হিসেবে মাঠে নেমেছিল ভারত। গ্রুপ পর্বেও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু ফাইনালে গল্পটা লেখা হয়েছিল ভিন্নভাবে। বলা হচ্ছে ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের কথা। সেই ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির পরাক্রমশালী ভারতকে ওভালের ফাইনালে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল পাকিস্তান

বলা যায় উদীয়মান একটি দল নিয়ে নতুন ইতিহাস লিখেছিল সরফরাজ আহমেদের দল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেদিনের ফাইনাল নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তানের সে সময়কার অধিনায়ক সরফরাজ। বলেছেন, ধোনি-কোহলিদের বিপক্ষে যে দলটি নিয়ে জিতেছেন, সেই দলের অনেকের তখনো দুধের দাঁতও পড়েনি!

ভারতকে ফাইনালে হারানোর স্মৃতি কখনো ভুলতে পারবেন না জানিয়ে সরফরাজ বলেছেন, ‘এটা এমন স্মৃতি (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়), যা আমি কখনো ভুলতে পারব না। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে জেতার অনুভূতি আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। এটা সাধারণ ম্যাচ হলে খুব বড় ব্যাপার হতো না। আমরা এর আগে ভারতের বিপক্ষে জিতেছি। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতেছি। এমনকি আমরা তাদের বিপক্ষে বেশি ম্যাচ জিতেছি। যেকোনো সংগ্রহ তাড়া করতে পারে, এমন একটি দলের বিপক্ষে জেতাটা ছিল অবিশ্বাস্য।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উল্লাস

দুই দলের শক্তির পার্থক্য কেমন ছিল, তা জানাতে গিয়ে সরফরাজ আরও বলেছেন, ‘তাদের জন্য কোনো রানই ব্যাপার ছিল না। ভারতের ছিল এম এস ধোনি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং, বিরাট কোহলি। অন্যদিকে আমাদের এমন খেলোয়াড় ছিল, যাদের তখনো দুধের দাঁত পড়া বাকি ছিল। আমাদের দলে কিছু শিশু ছিল, যারা আজ পাকিস্তান দলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।’

সরফরাজ এরপর যোগ করেন, ‘বাবর আজম, হাসান আলী, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ—তারা সবাই তখন তরুণ খেলোয়াড় ছিল। যদি আপনি তাদের দলের সঙ্গে আমাদের দলের তুলনা করেন, তবে কোনো তুলনাই আসলে হয় না। আমাদের দলে মাত্র দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল—মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক। আর বাকিরা ছিল একদম নবিশ।’

অধিনায়কত্ব নেওয়ার সময় সরফরাজের কোনো ধারণাই ছিল না, পরিস্থিতি কেমন হতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলি, আমরা বেশ চাপের মধ্যে ছিলাম। এর ফলাফল সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। তাই আমি যখন ফাইনালে নামি, তখন দলের খেলোয়াড়দের বলি—যে ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলি, সেটা বিবেচনায় এ ধরনের পারফরম্যান্স খুব বিরল। আজ আমরা যদি শতভাগ উজাড় করে দিতে পারি, ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকবে।’