দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ খেলায় মুজিব উর রেহমান, ফজলহক ফারুকি ও নাভিন উল হককে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। সেই সিদ্ধান্ত থেকে এখন অবশ্য সরে এসেছে তারা। তাঁদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা ও মাসিক আয় কিংবা ম্যাচ ফি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন কাটার শাস্তি দিয়েছে এসিবি, সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি শর্ত।
এই তিন ক্রিকেটারের প্রত্যেককে লিখিতভাবে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে এবং মাসিক আয় বা ম্যাচ ফি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন কাটা হবে। জাতীয় দায়িত্ব ও এসিবির লাভের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী সময়ে খেলোয়াড়দের অনাপত্তিপত্র দেওয়ার বিষয়টি কঠিনভাবে বিবেচনা করা হবে। এরপর পারফরম্যান্স ও শৃঙ্খলা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে এসিবি এই খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবতে পারে। এসব শর্তের কথা এসিবি বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
এসিবি চেয়ারম্যান মিরওয়াইস আশরাফ জানিয়েছেন, আফগান ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের অবদানের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা নিঃসন্দেহে দলের সাফল্যে অবদান রেখেছে এবং সর্বোচ্চ মূল্যবোধের সঙ্গে এই জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করেছে।’
মূলত জাতীয় দলের হয়ে খেলার চেয়ে বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর প্রতি বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন মুজিব, ফারুকি ও নাভিন। এ কারণে ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নিজেদের না রাখতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসিবি) অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। এ কারণেই তাঁদের ওপর খেপেছিল বোর্ড।
চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিব, ফারুকি ও নাভিনকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সে সিদ্ধান্ত থেকে শেষ পর্যন্ত সরে এসেছে বোর্ড।