আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের আবির্ভাব ২০১৫ সালে। সে বছরের এপ্রিলে টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক তাঁর। এরপর জুনে ওয়ানডে ও জুলাইয়ে টেস্ট অভিষেকও হয় মোস্তাফিজের। অনেকেই বলেন, মোস্তাফিজ সাদা বলের ক্রিকেট যত উপভোগ করেন, লাল বলেরটা তত নয়।
মোস্তাফিজের ক্যারিয়ারের দিকে তাকালেও সে রকমই মনে হতে পারে। তাঁর অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত ৫০টি টেস্ট, ১৩৪টি ওয়ানডে ও ১২৪টি টি–টোয়েন্টি খেলেছে। এর মধ্যে তিনি টেস্ট খেলেছেন মাত্র ১৪টি, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি যথাক্রমে ১০৩ ও ৯২টি।
তাহলে কি সাদা বলের ক্রিকেট সত্যিই বেশি ভালো লাগে মোস্তাফিজের? টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। এরপর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা নাজমুল–সাকিব–মাহমুদউল্লাহদের।
আইপিএল–ফেরত মোস্তাফিজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুটি টি–টোয়েন্টি খেলে দলের সঙ্গে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি নিজেই বলেছেন তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটপ্রীতির কথা, ‘ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা খুব পছন্দ করি।’
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট কেন বেশি পছন্দ করেন, সেই কারণটাও জানিয়েছেন মোস্তাফিজ, ‘এই সংস্করণে চাপ বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।’
মোস্তাফিজ কথা বলেছেন আরও অনেক কিছু নিয়ে। দেশের হয়ে খেলতে কেমন লাগে, কী তাঁর আক্ষেপ—এসব বিষয়ে মোস্তাফিজের ভাষ্য এ রকম, ‘দেশের হয়ে খেলা তো একটা গৌরবের বিষয়। আমি সব সময় দেশের হয়ে খেলাটা উপভোগ করি। আমার মনে হয় যখন কোনো বড় টুর্নামেন্ট হয়, কোনো বড় ট্রফি জেতে; তখন বড় খেলোয়াড় বলা হয়। এই আক্ষেপ তো সব সময় রয়েই গেছে।’
দলে তরুণ পেসারদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত মোস্তাফিজ বলেছেন, ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে—তাসকিন, শরীফুল, সাইফউদ্দিন (তিনি বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেটা ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ সিনিয়রদের থেকেও শিখছেন বলে জানিয়েছেন মোস্তাফিজ, ‘সাকিব ভাই আছে, রিয়াদ ভাই আছে। আমরা যদি কখনো আটকে যাই, মাঠে হতে পারে বা কোনো কিছু জানার থাকলে ভাইদের কাছ থেকে সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারব।’
নিজের ‘ফিজ’ নাম কীভাবে হয়েছে, সেটাও বলেছেন মোস্তাফিজ, ‘আমাদের যে বোর্ডটা আছে—ফিল্ডিং সেশন, বোলিং সেশনের বিষয় লেখা থাকে। ওই বোর্ডে যদি পুরো নাম লেখে, তাহলে অনেক বড় হয়ে যায়। এ কারণে লেখে ফিজ। প্রথম দিন আমি বুঝিনি। ভেবেছি এটা কে। তারপর আমাকে বলেছে, এটা তুমি। এরপর থেকেই...এরপর আমি আইপিএলে খেলতে গিয়েছিলাম ২০১৬ সালে। ওখানেও ফিজ নামটা জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এরপর থেকেই চলছে।’