চট্টগ্রামের ছেলে নাঈম হাসানের জন্য জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এমনিতেই বিশেষ কিছু। তার ওপর এ মাঠে টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট, নিজের খেলা সর্বশেষ টেস্টেও ৬ উইকেট—প্রিয় ভেন্যু হতে যা যা লাগে, সবই যেন সাগরিকায় এলে খুঁজে পান এই অফ স্পিনার।
এই মাঠে গেলে আরও একটা জিনিস খুঁজে পান নাঈম, সেটি হলো আত্মবিশ্বাস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট হারের পর নাঈম ও বাংলাদেশ দলের সেটাই এখন সবচেয়ে বেশি দরকার।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় নাঈমের কণ্ঠে ছিল চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, ‘আমার মনে হয় এখানে আমরা ভালো একটা রেজাল্ট করব। আমরা সিরিজ সমতায় আনার চেষ্টা করব, ইনশা আল্লাহ।’
ঘরের মাঠ, অতীত পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে নাঈমকে আত্মবিশ্বাসী শোনাল, ‘নিজের হোম গ্রাউন্ডে খেলতে খুব ভালো লাগে। আগেও খেলেছি, আলহামদুলিল্লাহ আমার ক্যারিয়ারের দুটা ফাইফার এখানে। এখানে সুযোগ পেলে নিজের শতভাগে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগাভাগি করেছেন নাঈম, ‘আমাদের এ মাঠে একটু স্লো স্পিন হয়, যেটা আমাদের জন্য ভালো।’
দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারের চেয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদের বলের গতির তুলনা করে নাঈম পরে যোগ করেন, ‘ওরা তো মিরপুরে অনেক আস্তে বোলিং করেছে, আমাদের স্পিনাররা ৯০ (ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার)–এর ওপর বোলিং করে। ওই হিসেবে আমাদের দিক থেকে চট্টগ্রামের উইকেট ভালো হবে।’
নিজ দলের স্পিনাররা তা কাজে লাগাবেন, এমন আশা নাঈমের, ‘আমার মনে হয় মিরপুরে যে উইকেট ছিল (তার তুলনায়), এখানে ভিন্ন উইকেট থাকবে। আমাদের স্পিনাররা আল্লাহর রহমতে খুব ভালো শেপে আছে, তাইজুল ভাই, মিরাজ ভাই। ইনশা আল্লাহ আমাদের ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।’
বাংলাদেশ দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের দক্ষতার কথাও বলেছেন, ‘এখানে স্পিনটা সৌরভ ভাই, মুশি ভাই খুব ভালো খেলেন।’
শুধু বল হাতে নয়, ব্যাটিংয়েও দলের জয়ে অবদান রাখতে চান নাঈম, ‘আমি যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখন নিজেকে ব্যাটসম্যান মনে করার চেষ্টা করি। ব্যাটিংয়ে আমি যত বেশি রান করতে পারব তত দলের লাভ। দেখবেন লোয়ার অর্ডারের পার্টনারশিপ বিপক্ষ দলের মোমেন্টাম পরিবর্তন করে ফেলে। শেষ দিকে একটা বড় জুটি গেমটা পুরোপুরি ড্যামেজ করে দেয়।’