পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পেলেন ২ উইকেট। মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে পেলেন আরও দুটি উইকেট। সেই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসেই মূলত পাওয়া গেছে আসল শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। নিয়েছেন ৪ উইকেট। ফিল্ডাররা সহায়তা করলে ফিগারটা আরও ভালো হতেও পারত।
মাত্রই সেরা ছন্দে ফিরেছেন, অনেকেই আফ্রিদিকে নিয়ে তাই ভেবেছেন, সিডনিতেই আফ্রিদি হবেন আরও ধারাল। কিন্তু সিডনি টেস্টে তো আফ্রিদি দলেই নেই! তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। সিডনিতে আফ্রিদির না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরই পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। সেই সিরিজ দিয়েই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করবেন আফ্রিদি। মূলত এই সিরিজ মাথায় রেখেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আফ্রিদিকে। আর প্রথম দুই টেস্টে আফ্রিদি বল করেছেন প্রায় ১০০ ওভার, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বোলিং করা স্পিনার নাথান লায়নের চেয়ে প্রায় ৩০ ওভার বেশি।
আকরাম ও ওয়াকার এত কিছু মানতে নারাজ। ফক্স ক্রিকেটে আফ্রিদির বিশ্রাম নিয়ে আকরাম বলেছেন, ‘এই সিরিজের পরই নিউজিল্যান্ডে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি আছে, শাহিন সেখানে অধিনায়ক। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে কে পরোয়া করে? আমি বুঝি, এটা বিনোদনের জন্য, বোর্ড, খেলোয়াড়দের আর্থিক লাভের জন্য, কিন্তু ক্রিকেটারদের বুঝতে হবে, টেস্ট ক্রিকেটটাই আসল। এটা ম্যানেজমেন্টের বিষয় নয়, এটা শাহিনের সিদ্ধান্ত।’
আকরাম এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটাররা কী হতে চায়? কিংবদন্তি নাকি মিলিয়নিয়ার? কিংবদন্তি এই পেসার বলেছেন, ‘আমরা ২০ বছর আগের সিডনি টেস্ট নিয়ে কথা বলি, কিন্তু কেউ মনে রাখে না গত রাতে টি-টোয়েন্টিতে কী হয়েছে। এটাই পার্থক্য। তাদের বুঝতে হবে, শিখতে হবে, তারা ক্রিকেটের কিংবদন্তি হতে চায় নাকি মিলিয়নিয়ার? আপনি একটু মাথা খাটালে একসঙ্গে দুটোই হতে পারবেন।’
ওয়াকারও ওয়াসিমের মতোই বিস্মিত। পাকিস্তানি কিংবদন্তি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটা আমাকে অবাক করেছে। কারণ, আমি ওকে এই টেস্টে প্রত্যাশা করেছিলাম। গত টেস্টে ওকে ভালো মনে হয়েছে। পুরোনো শাহিন আফ্রিদির মতো মনে হয়েছে, সুইং পেয়েছে, গতিও বাড়ছিল।’
আফ্রিদিও নিজের বিশ্রাম নিয়ে সম্প্রচারক চ্যানেলকে বলেছেন, ‘দুটি ম্যাচ খেললাম। সত্যি বলতে অনেক ওভার বল করতে হয়েছে। তাঁরা আমার চাপটা কমানোর চেষ্টা করেছেন, চিকিৎসক দল ও টিম ম্যানেজমেন্ট এই টেস্ট থেকে আমাকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’