রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দল। আজ মুলতানে
রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দল। আজ মুলতানে

দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপে রানার্সআপ বাংলাদেশ

ফাইনাল পর্যন্ত গিয়ে থামতে হলো বাংলাদেশকে। দৃষ্টিহীনদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাই শিরোপা জেতা হলো না বাংলাদেশের দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলের।

মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফাইনালে আজ আরিফ–আশিকুরদের ১০ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান।

ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে দুই ওপেনারের তাণ্ডবে স্বাগতিক পাকিস্তান মাত্র ১১.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন আরিফ হুসেইন। এ ছাড়া সালমান ৩১ ও আশিকুর ২২ রান করেন। ২ উইকেট নিয়ে ফাইনালে পাকিস্তানের সেরা বোলার বাবর আলী। তাঁর সঙ্গে মোহাম্মদ সালমান ও মতিউল্লাহর ১টি করে উইকেট বাংলাদেশকে অল্পতেই বেঁধে রাখতে ভূমিকা রাখে। লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের দুই ওপেনার নিসার আলী ৭২ ও মোহাম্মদ সফদার ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

এ নিয়ে বাংলাদেশ পরপর দুবার দৃষ্টিহীনদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানার্সআপ হলো। ২০২২ সালের আগের আসরের ফাইনালে হেরেছিল ভারতের কাছে। পাকিস্তান তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে খেললেও চ্যাম্পিয়ন হলো এই প্রথম।

ফাইনালের আগপর্যন্ত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশই ছিল একমাত্র অপরাজিত দল। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা—টানা ৫ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। গত পরশু সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারিয়ে ওঠে ফাইনালে। কিন্তু আজ ফাইনালে আর পেরে উঠল না।  

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ পাকিস্তান দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলের

দৃষ্টিহীনদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সফলতম দল ভারত। ২০১২, ২০১৭, ২০২২—টুর্নামেন্টের প্রথম তিন আসরে শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিক করে তারা। এবারও ভারতের দলটা ছিল ফেবারিট। কিন্তু এবারের আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় টুর্নামেন্ট শুরুর চার দিন আগে নিজেদের সরিয়ে নেয় ভারত।

বাংলাদেশ দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দল রানার্সআপ হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘তাদের অর্জনে গোটা জাতি গর্বিত।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৭
পাকিস্তান: ১১.২ ওভারে ১৪০/০
ফল: পাকিস্তান ১০ উইকেটে জয়ী।