গত নভেম্বরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিকেটের ২০ ওভারের সংস্করণে বিশ্বজয়ের তিন মাস পরই বিরাট ধাক্কা খেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বর বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাই—বাংলাদেশ সফরে আসার আগে এমন কিছু কি জস বাটলার, মঈন আলীদের কল্পনায় ছিল?
বাংলাদেশ দলও কি ভেবেছিল, যে সংস্করণে তারা দুর্বল, তাতেই ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারবে? অন্তত এক ম্যাচ জেতার লক্ষ্য যে ছিল না, তা বলা যাবে না, তাই বলে ধবলধোলাই! সিরিজের তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে উড়ে যাওয়াটা ভালোমতোই পোড়াচ্ছে ইংল্যান্ড দলকে।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের কোচ ম্যাথু মট বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার বড় ধাক্কাই, ‘হারটা পোড়াচ্ছে, ভালোমতোই পোড়াচ্ছে। ৩-০ ব্যবধানে হার...! ওয়ানডে সিরিজ আমরা দারুণ খেলেই জিতেছি। ওই জয়টা নিয়ে আমরা গর্বিত। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার অনেকটাই তিক্ত অভিজ্ঞতা।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের ফিল্ডিং চিন্তায় ফেলেছে কোচ মটকে, ‘আমাদের প্রথম ১৫ ওভারের ফিল্ডিং প্রত্যাশিত মানের ধারেকাছেও ছিল না। আমরা একটি শক্তিশালী স্বাগতিক দলের বিপক্ষে খেলেছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। প্রতিটি খেলোয়াড়ই আত্মবিশ্বাসী ছিল। কিন্তু কোনো এক কারণে আমাদের ক্যাচিং ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিং—দুটিই বাজে হয়েছে।’
বাংলাদেশে ইংল্যান্ড দল অবশ্য বেশ কয়েকজন নিয়মিত তারকাকে ছাড়াই এসেছিল। ছিলেন না বেন স্টোকস, লিয়াম লিভিংস্টোন, হ্যারি ব্রুক ও অ্যালেক্স হেলস। ঠাসা সূচি, আইপিএল ইত্যাদি কারণেই এ ধরনের খেলোয়াড়দের পায়নি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পর অধিনায়ক জস বাটলার বলেছিলেন অক্টোবরে ভারতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অন্য ক্রিকেটারদের সাদা বলে মাঠে নামানোটা জরুরি ছিল। কোচ মটও তেমনটিই বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, অন্য ক্রিকেটারদেরও চাপের মধ্যে পারফর্ম করানোটা ভালো হবে। এখন ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়াটা জরুরি। এখন আমি নিশ্চিত, আমরা এর মধ্য দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিতে পারব।’