পায়ের চোট থেকে সেরে না ওঠায় ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না অ্যাশটন অ্যাগার
পায়ের চোট থেকে সেরে না ওঠায় ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না অ্যাশটন অ্যাগার

বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ অ্যাগারের

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরু। এক দশক আগে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে এবং এখনো দলে আছেন, অথচ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হয়নি—এমন ক্রিকেটার খুব বেশি পাওয়া যাবে না। অ্যাশটন অ্যাগার ছিলেন এই ‘দুর্ভাগা’দের দলে। তবে অস্ট্রেলিয়ার এবারের বিশ্বকাপ দলে থাকায় অ্যাগারের আক্ষেপটা শিগগিরই ঘুচে যেত।

কিন্তু সেটা আর হচ্ছে কোথায়! পায়ের চোট থেকে সেরে না ওঠায় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল থেকে ছিটকে গেছেন অ্যাগার। ২৯ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনারের বাদ পড়া নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম কোড স্পোর্টস এ খবর দিয়েছে। তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন করেছে অস্ট্রেলিয়ার আরও দুই সংবাদমাধ্যম ফক্স স্পোর্টস ও নিউজ ডটকম ডট এইউ।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পায়ের পেছনের হাড়ে আঘাত পান অ্যাগার। সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেন ৭ সেপ্টেম্বর। সেই ম্যাচে বল হাতে ৪০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অষ্টম উইকেটে মারনাস লাবুশেনের সঙ্গে গড়েন ১১২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ওই দিন ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও লাবুশেনের ৮০ আর অ্যাগারের ৪৮ রানের সুবাদে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলেছেন অ্যাশটন অ্যাগার

চোট তো ছিলই, সঙ্গে প্রথম সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে যান অ্যাগার। এসব কারণে খেলেননি ভারতের বিপক্ষে গতকাল শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজেও। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের আগেই অবশ্য দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেয়েও খেলা হচ্ছে না।

অ্যাগার না থাকায় আরেকটি বড়সড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই চতুর্থ ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় হাতে আঘাত পান ট্রাভিস হেড। সেই চোটে বিশ্বকাপের শুরুর কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না হেড।

ফক্স স্পোর্টস জানিয়েছে, অ্যাগারের জায়গায় অস্ট্রেলিয়া দলে ঢুকতে পারেন মারনাস লাবুশেন অথবা তানভীর সাংহা। ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার সাংহা দুটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে ৭টি উইকেট নিয়েছেন। ম্যাথু শার্টকেও দলে নিতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অ্যাগারের অভিষেক থেকে এখন পর্যন্ত দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে একবারও অ্যাগারকে দলে রাখা হয়নি। ২০১৫ সালে একমাত্র স্বীকৃতি স্পিনার হিসাবে জায়গা পেয়েছিলেন জাভিয়ের দোহার্টি; আর ২০১৯ সালে স্পিন বিভাগে নাথান লায়নের সঙ্গী ছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। এবার জাম্পার সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল অ্যাগারকে। কিন্তু চোট তাঁর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে দিল না।

সাবেক অধিনায়ক জর্জ বেইলির নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটি শেষ মুহূর্তে দলে পরিবর্তন আনতে গিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের আগে খেলার সম্ভাবনা নেই হেডের। এটা জেনেও তাঁকে যদি রেখে দেওয়া হয়, তাহলে কমপক্ষে ৪ ম্যাচ ১৪ জন নিয়ে খেলতে হবে। আবার হেডকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে দলে নেওয়া হয়, তাহলে তিনি সেরে ওঠার পরও বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে হাতে আঘাত পাওয়ায় বিশ্বকাপে কমপক্ষে ৪টি ম্যাচ খেলতে পারবেন না ট্রাভিস হেড

বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার জন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আইসিসি। ফক্স স্পোর্টস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বিকেলে (বাংলাদেশ সময় রাতে) দলে পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে সিএ।