আলিস ইসলামের উদ্যাপনই সব বলে দিচ্ছিল। ঢাকা মহানগরের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ১০ ওভারে ৫০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় খুলনা। তখন উইকেটে ছিলেন নুরুল হাসান ও শেখ পারভেজ। মানে ফাইনালে উঠতে তখন ঢাকার নুরুলের উইকেটটি প্রয়োজন ছিল।
১১তম ওভারে সেটিই এনে দেন স্পিনার আলিস। নুরুলের আউটে পর খুলনার হারের আনুষ্ঠানিকতাই বাকি ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁর দল থেমেছে ৮১ রানে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৮ রানে জিতে খুলনাকে হারিয়ে জাতীয় লিগ টি–টোয়েন্টির ফাইনালে উঠেছে মহানগর।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে খুলনা। খুলনা শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চারজন আজিজুল হাকিম, এনামুল হক, ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন কেউই ভালো করতে পারেননি।
এনামুল করেছেন ১৬ রান, আজিজুল, ইমরুল আউট হন শূন্য করে, মিঠুন করেন ১ রান। সে কারণেই মূলত ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা। এরপর সব দায়িত্বই পড়ে সর্বশেষ ম্যাচে ফিফটি করা নুরুলের ওপর। তিনি ১৮ বলে ২২ রান করে আউট হন। আলিস শুধু নুরুলের উইকেট পেয়েছেন। তবে ৪ ওভারে রান খরচ করেছেন মাত্র ৫। রাকিবুল হাসান উইকেট নেন ২টি, মোসাদ্দেক হোসেন ৩টি। পেসার মারুফ মৃধাও ২ উইকেট নেন।
এর আগে ঢাকা ১১৯ রান করে অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈমের ফিফটিতে। তাদের শুরুটা অবশ্য টি-টোয়েন্টি মেজাজেরই হয়েছিল। ইমরানুজ্জামান ও নাঈম ২৭ বলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। ১০ বলে ১৪ রান করে ইমরানুজ্জামান আউট হলে ঢাকার রানের গতি থেমে যায়। প্রথম ২৭ বলে ৪০ রান করা ঢাকা পরের ৪৫ বলে তুলতে পারে মাত্র ২৮ রান।
ইমরানুজ্জামান ও নাঈম ছাড়া ঢাকার আর একজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছে। ৯ নম্বরে নেমে ১৬ রান করেছেন শহীদুল ইসলাম। পারভেজ, মেহেদী রানা ও মাসুম খান ২টি করে উইকেট নেন। জাতীয় দলের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
পরশু ফাইনালে রংপুরের মুখোমুখি হবে ঢাকা মহানগর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মহানগর: ২০ ওভারে ১১৯/৮ (নাঈম ৫৭, শহীদুল ১৬; মেহেদী ২/১৮, মাসুম ২/১৬, পারভেজ ২/১৭)
খুলনা: ১৭.৪ ওভারে ৮১/১০ (নুরুল ২২, মাসুম ১৬; রাকিবুল ২/১৬, মোসাদ্দেক ৩/১৩)
ফল: ঢাকা ৩৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: রাকিবুল হাসান