‘সাকিবকে মিস করবেন?’ প্রশ্নটা শুনে একটু অবাকই হলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে মিস করার তো প্রশ্নই আসে না। সাকিবের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি বরং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভালো খবর। তবু সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন যখন হয়েই গেছে, উত্তর তো দিতেই হয়।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা শুনে মার্করামও তাই হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমরা তাঁকে মিস করব না। কারণ, সে খুবই ভালো ক্রিকেটার। তবে সাকিব ছাড়াও ওদের দলটা বেশ শক্তিশালী। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা কঠিনই হতে যাচ্ছে।’
আমাদের তাঁকে (সাকিব) বল করতে হচ্ছে না, তাঁর বোলিংও খেলতে হচ্ছে না। তাঁর অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আমরা তাঁর না থাকা নিয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি না। কারণ, ওদের দলটা এমনিতেই যথেষ্ট শক্তিশালী।এইডেন মার্করাম
সাকিবের না থাকা নিয়ে আরও একটি প্রশ্নের উত্তরে প্রায় একই কথা বলেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক, ‘সাকিব না থাকলেও ওদের দলটা বেশ শক্তিশালী। অনেক যোগ্য স্পিনার আছে ওদের। কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে অবশ্যই। আর ওই চ্যালেঞ্জটা নিতে আমরা মুখিয়ে আছি। কঠিন কয়েকটা দিন অপেক্ষা করছে, চ্যালেঞ্জিং কয়েকটা দিনও। আশা করি, সিরিজটাও আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর হবে।’
অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের না থাকা বরং বাংলাদেশ দলকে ভোগাবে বলে মনে করেন মার্করাম, ‘সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। অনেক বছর ধরেই সে এটা প্রমাণ করে এসেছে। আমাদের তাঁকে বল করতে হচ্ছে না, তাঁর বোলিংও খেলতে হচ্ছে না। তাঁর অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আমরা তাঁর না থাকা নিয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি না। কারণ, ওদের দলটা এমনিতেই যথেষ্ট শক্তিশালী।’
বাংলাদেশ সফরের চ্যালেঞ্জ নিতে দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। বাংলাদেশে আসার আগে বিশেষ ক্যাম্প আয়োজন করেছে দলটি। ঢাকায় আসার পর আজসহ তিন দিন অনুশীলন করেছে। প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, সেটা জানাতে গিয়ে মার্করাম বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। এখানে দুই দিন অনুশীলন করলাম। গরম আর ঘামের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি কিছুটা। কন্ডিশন যেমন প্রত্যাশা করেছিলাম, ঠিক তেমনই। আর আমাদের যে সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সেটা দারুণ। এখানকার লোকজন আমাদের সাহায্য করছে। হোটেল খুব উপভোগ করছি। আর ক্রিকেটের দিক থেকে প্রস্তুতি বেশ ভালো হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো ক্যাম্প করে এসেছি। দল হিসেবে আমরা ভালো জায়গায় আছি। এখন মাঠের নামতে মুখিয়ে আছি।’
বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বড় ‘কমন’ চ্যালেঞ্জের নাম স্পিন। মার্করামও সেটা জানেন, ‘স্পিন স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়, কারণ আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছি। আমরা এ ধরনের কন্ডিশনে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না। আমাদের জন্য নতুন ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে।’
অভিজ্ঞ টেম্বা বাভুমা ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা এই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কারও নেই। চোটের কারণে সেই বাভুমাকেও প্রথম টেস্টে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করামও বললেন, ‘এই দলটা বেশ তরুণ ও উপমহাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাও কম। যেকোনো ক্রিকেটার এ ধরনের চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে থাকবে। আমরাও এই সিরিজটা খেলতে মুখিয়ে আছি, যা ভবিষ্যতে আমাদের উপমহাদেশ সফরেও কাজে লাগবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ গত বছর বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছিলেন। কন্ডিশন সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে দলের বাকিরা মহারাজের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানান মার্করাম, ‘কেশব খুবই স্মার্ট ও অভিজ্ঞ একজন। ছেলেরা তথ্যের জন্য তাঁর কাছে যাচ্ছে, কথা বলছে।’