বল হাতে যশপ্রীত বুমরা কী করতে পারেন, তা সবার জানা। সদ্য সমাপ্ত চেন্নাই টেস্টেই বুমরার সামনে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। ভারতের বিশাল ব্যবধানে জয় পাওয়া এই টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। প্রথম ইনিংসে তিনি ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ৪ উইকেট নেওয়ার পথে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন।
‘টেল এন্ডার’ হওয়ার কারণে ব্যাটসম্যান বুমরাকে অবশ্য খুব বেশি ব্যাট করতে হয় না। ভারতের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২২৮ ইনিংসে বল করলেও ব্যাট হাতে নামতে হয়েছে মাত্র ৯০ বার। বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের কথাই ধরুন। এই ম্যাচে ব্যাট করতে হয়েছে একবার। ওই ইনিংসে হাসান মাহমুদের পঞ্চম শিকার হওয়ার আগে ৯ বলে করেছেন ৭ রান; মেরেছেন একটি চার।
বুমরার ছোট্ট এই ইনিংস খেলার পথেই একটা বিষয় অনেকের নজরে এসেছে। তাঁর ব্যাটে ছিল না কোনো স্পনসর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো খেলোয়াড়ের ব্যাটে স্পনসর কিংবা স্টিকার না থাকার ব্যাপারটা বিরলই বলা যায়। তার ওপর বুমরার মতো একজন তারকা ক্রিকেটারের ব্যাটে স্পনসর না থাকাটা কৌতূহল জাগাতে বাধ্য। বিষয়টি ধারাভাষ্যকারদেরও চোখ এড়ায়নি। রবি শাস্ত্রীকে তো রসিকতা করে বলতে শোনা গেছে, ‘এখন স্পনসর নেই, কদিনের মধ্যেই একটা জুটিয়ে ফেলবে।’
ব্যাটে স্পনসর নেই কেন—গত পরশু টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বুমরাকে প্রশ্নটি করেন বাংলাদেশ–ভারত সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের এক সঞ্চালক। জবাবে ৩০ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘আমি কিছু রান করেছি। কেউ যদি (ব্যাটের স্পনসর হতে) চায়, তাহলে তাদের জানার কথা কীভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’
ব্যাটিংটা যে তিনি মোটামুটি পারেন, বুমরা হয়তো তাঁর কথায় সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি, ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে কোনো বোলারের এক ওভারে সর্বোচ্চ রান নেওয়ার বিশ্ব রেকর্ডটা বুমরারই!
২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টন টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভার থেকে এসেছিল ৩৫ রান; বুমরা ৪টি চার, ২টি ছক্কা ও ১ সিঙ্গেলে নিয়েছিলেন ২৯ রান। ওই ম্যাচে ভারতকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্বও দিয়েছেন বুমরা। সে সময় তাঁর ব্যাটের স্পনসর ছিল ক্রিকেটের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্যানস্পারেইলস গ্রিনল্যান্ডস (এসজি)। ভারত সফরে এসজি বল দিয়েই খেলছে বাংলাদেশ।