বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বাউন্ডারির দিকে ছুটলেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিক–মুমিনুল এবং আয়ারল্যান্ড ফিল্ডাররা। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে এলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালেন খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড খেলোয়াড়দের ‘গার্ড অব অনার’ এর মধ্য দিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঠ ছাড়লেন আলিম দার। আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে এটি ছিল তাঁর শেষ টেস্ট।
খেলোয়াড়দের কাছ থেকে গার্ড অব অনারের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে সম্মাননাও পেয়েছেন আলিম দার। ১৯ বছর আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা এই পাকিস্তানি আম্পায়ারের হাতে স্মারক তুলে দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান।
২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা শুরু করা আলিম দার ২০০২ সালে আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে যুক্ত হন। এর দুই বছর পর তাঁকে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দীর্ঘ আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে ১৪৫ টেস্ট, ২২৫ ওয়ানডে ও ৬৯ টি–টোয়েন্টিতে অন–ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ছিল ২০০৬ আইসিসি ট্রফি ফাইনাল, ২০০৭ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০১০ ও ২০১২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল।
২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত টানা তিন বছর আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতিও পান আলিম দার।
৪৬ বছর বয়সী এই আম্পায়ার গত মাসে এলিট প্যানেল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ব্যতিক্রম বাদে প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন দুজন আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার, ওয়ানডেতে থাকেন একজন। আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোর দায়িত্বও দেওয়া হয় তাঁদের হাতে।
মিরপুরে এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে শেষ ম্যাচেও আলিম দারের সিদ্ধান্ত ছিল সেরা মানের। ম্যাচে তাঁর ৮টি সিদ্ধান্তের রিভিউ চেয়েছিল দুই দল। এর মধ্যে শুধু একটি সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে, বাকি সাতটিই বহাল থেকেছে। যার মধ্যে মাত্র একটি ছিল আম্পায়ার্স কল।
আলিম দার অবশ্য এখনই আম্পায়ারিং ছেড়ে দিচ্ছেন না। আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা চালিয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চাইলে তিনি আম্পায়ারিং করতে পারবেন।