বিরাট কোহলির সঙ্গে নিউজিল্যান্ড স্পিনার মিচেল স্যান্টনার
বিরাট কোহলির সঙ্গে নিউজিল্যান্ড স্পিনার মিচেল স্যান্টনার

‘যেভাবে খেলি, সেভাবেই চালিয়ে যাব’

ক্র্যাম্পে ভোগা বিরাট কোহলিকে সহায়তা করায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের করা সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ড্যারিল মিচেল। তিনি বলেছেন, কিউই হিসেবে এসবেই গর্ববোধ করেন তাঁরা, ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাবেন এভাবেই।

মুম্বাইয়ে ১৫ নভেম্বর বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ওয়ানডেতে রেকর্ড ৫০তম শতকের পথে ক্র্যাম্পে ভুগছিলেন কোহলি। সে সময় তাঁর অবস্থা দেখতে এগিয়ে যেতে দেখা যায় নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন খেলোয়াড়কে। কোহলিকে সহায়তাও করেন তাঁরা।

ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের এমন ক্র্যাম্পে সহায়তা করার দৃশ্য বেশ পরিচিতই। তবে অস্ট্রেলিয়ার ‘সেন রেডিও’তে কথা বলার সময় এ নিয়ে সমালোচনা করেন সাবেক অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার সাইমন ও’ডোনেল, ‘বিরাট কোহলির যখন ক্র্যাম্প, তখন আপনি তাকে সহায়তা করতে যাবেন কেন? যখন তারা ৪০০ রানের পথে এগোচ্ছে? ক্রিকেটে চেতনা হচ্ছে আইনের মধ্য থেকে খেলা।’ এরপর তিনি যোগ করেন, ‘আমি বুঝি না, একেবারেই বুঝি না। (সাপোর্ট) স্টাফ তাকে সহায়তা করছে, সে ৫০টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছে, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে আপনার বিপক্ষে ৫০ নম্বরটি করতে আপনি তাকে কেন সহায়তা করবেন?’

ওয়াংখেড়েতে ১১৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। জবাবে ১১৯ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস খেললেও দলকে পার করাতে পারেননি মিচেল। তবে দেশের উদ্দেশে মুম্বাই ছাড়ার আগে ও’ডোনেলের করা সমালোচনার জবাবে সাংবাদিকদের মিচেল বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্ল্যাক ক্যাপ হিসেবে আমরা এসবেই গর্ববোধ করি, নিউজিল্যান্ডের মানুষ হিসেবেও। আমরা এমনভাবে ক্রিকেট খেলতে চাই, দেশ হিসেবে যেটি আমাদের সঙ্গে মানানসই। আমরা যেভাবে আমাদের বাচ্চাদের বড় করতে চাই, তারা যেভাবে খেলুক সেটি চাই।’

ক্র্যাম্প ভুগিয়েছিল মিচেলকেও

এরপর তিনি যোগ করেন, ‘কিউই হিসেবে আমরা যেভাবে খেলি, সেটিই চালিয়ে যাব আমরা। আশা করি, বাকি দুনিয়া আমাদের সম্মান দিতে পারবে, যেভাবে দৈনন্দিন জীবন যাপন করি—শুধু মাঠে না এর বাইরেও। এটি নিয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত, ফলে আমরা ব্ল্যাক ক্যাপই হয়ে থাকব, যা করি তা–ই করব।’
মিচেল নিজের ইনস্টাগ্রাম আইডিতেও এ প্রসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর ক্র্যাম্প হওয়ার পর ভারতের ঈশান কিষান তাঁকে সহায়তা করছেন, এমন একটি ছবি স্টোরিতে শেয়ার করে মিচেল লিখেছেন, ‘সহায়তার জন্য ধন্যবাদ, ঈশান কিষান।’

বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে নিউজিল্যান্ড। ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সে সিরিজ খেলতে আগামী ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছানোর কথা নিউজিল্যান্ড দলের। বিশ্বকাপের পরপরই এ সিরিজ নিয়ে মিচেল বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক খেলার ধরনই এখন এমন। দুই বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার ৪৮ ঘণ্টা পরই ভারতে আমাদের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল একটি, ফলে আমরা এসবে অভ্যস্ত।’

বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের কোনো প্রভাব এ সিরিজে পড়বে না বলেও জানিয়েছেন মিচেল, ‘আমরা হাজির হব। আমরা টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসি, এই দলের জন্য এটির তাৎপর্য ব্যাপক। টেস্টের প্রথম দিনই আমরা প্রস্তুত হয়ে যাব, ব্ল্যাক ক্যাপটি পরব আবার।’