মোস্তাফিজুর রহমান পুরোনো ছন্দে নেই। সাম্প্রতিক সময়ে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণে মনে হয়েছিল, এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজ দল নাও পেতে পারেন। তবে নিলামে তেমনটা হয়নি। মোস্তাফিজকে ২ কোটি ভারতীয় রুপিতে দলে নিয়েছে আইপিএলের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস।
২০১৬ ও ২০২১ আসর বাদ দিলে কোনো মৌসুমেই ৮টির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি মোস্তাফিজ। কম্বিনেশন ও উইকেটে কার্যকারিতার মানদণ্ডে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে বেশির ভাগ ম্যাচে। বাঁহাতি এ পেসার আইপিএলের সর্বশেষ মৌসুমেও দিল্লির হয়ে খেলেছেন মাত্র ২টি ম্যাচ।
এমন একজন বোলারকে চেন্নাই কোন চিন্তা থেকে দলে ভিড়িয়েছে, এ নিয়ে কৌতূহল ছিল অনেকেরই। শনিবার চেন্নাইয়ে ‘জুনিয়র সুপার কিংস’-এর উদ্বোধনী আয়োজনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই কৌতূহলই মিটিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাসি বিশ্বনাথান।
আইপিএলে পাঁচবার ট্রফি জেতা চেন্নাইয়ের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি ও স্টিভেন ফ্লেমিং। খুব সম্ভবত তাঁরাই মোস্তাফিজকে কিনতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। বিশ্বনাথানের কথায় উঠে এসেছে চেন্নাইয়ের উইকেটের কথা। আইপিএলে চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ চিপকের এম এ চিদাম্বরাম স্টেডিয়াম।
সাধারণত এখানকার উইকেট ধীরগতির হয়, বল কিছুটা থেমে আসে। এই মাঠের দুই পাশের সীমানাও বেশ বড়। সব মিলিয়ে এই মাঠ মোস্তাফিজের মতো বোলারদের জন্য আদর্শ। এই মাঠের সুবিধা আদায় করতেই মূলত মোস্তাফিজকে কিনেছে চেন্নাই। অন্যদিকে মোস্তাফিজ ছাড়াও চেন্নাই ড্যারিল মিচেল, রাচীন রবীন্দ্র, শার্দূল ঠাকুরকে কিনেছে তারা।
কাসি বিশ্বনাথান বলেছেন, ‘যাদেরকে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল আমাদের, মোটামুটি তাদের সবাইকেই পেয়েছি। ড্যারিল মিচেলকে কেনার পরিকল্পনা ছিল। আমাদের মনে হয়েছে, চিপকের উইকেটে এবং সেখানে দুই পাশের সীমানা যে রকম, মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর বাজি ধরা ভালো হতে পারে। আমাদের চিন্তাভাবনা এমন ছিল। তবে নিশ্চিত ছিলাম না, তাদের আমরা পাব কি না। সৌভাগ্যবশত, আমাদের এবারের নিলাম বেশ ভালোই কেটেছে।’
চেন্নাই সুপার কিংস হতে যাচ্ছে আইপিএলে মোস্তাফিজের পঞ্চম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার। সব মিলিয়ে ৪৮ ম্যাচে ৭.৯৩ ইকোনমি রেটে ৪৭ উইকেট নিয়েছেন। ২০১৬ সালে আইপিএলে নিজের প্রথম আসরেই হয়েছিলেন সেরা উদীয়মান।