পাকিস্তানের ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট মানের উইকেট নিয়ে বিতর্ক হবেই। ইংল্যান্ড দলের পাকিস্তান সফরেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ঘরের মাঠে ধারাবাহিকভাবে টেস্ট জিততে না পারা আর অতিরিক্ত ব্যাটিং–সহায়ক উইকেট তৈরি করা নিয়ে এই সিরিজের শুরু থেকেই আলোচনা হচ্ছে।
অনেকেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি রমিজ রাজাকে ঘরের মাঠে ব্যাটিং–সহায়ক উইকেটের জন্য সমালোচনা করছেন। তাঁর সময়েই এটা বেশি হয়েছে, অভিযোগটা এ রকম। রমিজ অবশ্য দোষটা চাপিয়ে দিলেন তাঁর সময়ে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজমের ওপর।
বিসিবির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল অনুষ্ঠানে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি উইকেট তৈরি নিয়ে কিছু করছিলাম না। আমি বাবরের কথা শুনছিলাম। সে যখন আমার কাছে এসেছিল, তখন আমি অস্ট্রেলিয়াকে কীভাবে হারানো যায়, সে পরিকল্পনা জানতে চাই। সে ভালো ব্যাটিং–উইকেটে খেলার কথা বলেছিল। আমি মাঝেমধ্যে এ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলাম। কিন্তু দিন শেষে সেই অধিনায়ক।’
এখন পাকিস্তানের ঘরের মাঠে ব্যর্থতার পেছনে সেই উইকেটকেই দায়ী করছেন রমিজ, ‘আপনি যখন জানবেন না উইকেটের চরিত্র কেমন, তখন সবাই অন্ধকারে থাকবে। আপনি প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য আক্রমণাত্মক হতে পারবেন না। কারণ, উইকেটের সঙ্গে আপনার শক্তিমত্তার কোনো মিল নেই। এটাই ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বাজে পারফরম্যান্সের মূল কারণ।’
বাবরের লাল বলের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেটার। তাঁর যুক্তি, বাবর সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ অধিনায়কত্ব করলেও তা লাল বলে প্রতিফলিত হয়নি। রমিজের কথা, ‘সে সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো করেছে। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে নয়। সে মাঝেমধ্যে যেভাবে ফিল্ডিং সাজাত, আমি খুব হতাশ হতাম।’
সাবেক এই অধিনায়কের সমালোচনা করলেও পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বাবর ও শাহিন আফ্রিদি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে কথাও বলেছেন রমিজ। দুজনকেই পাকিস্তান ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন বলেছেন তিনি, ‘ওরাই বিজ্ঞাপন। আপনি যদি ক্রিকেট চ্যানেলগুলো ঘুরে আসেন, আপনি কেন পাকিস্তান ক্রিকেটে থামবেন? ওদের সরিয়ে দেওয়া স্পনসর কিংবা সমর্থকদের জন্য ভালো খবর নয়। এটা ভালো দেখায় না।’