বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান

নির্বাচক কমিটি নিয়ে যা বললেন নাজমুল হাসান

৩১ ডিসেম্বর মিনহাজুল আবেদীনের নির্বাচন কমিটির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। বিসিবি চাইছে, নতুন বছরে নির্বাচন কমিটি নতুন করে সাজাতে। তবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে বর্তমান নির্বাচক কমিটির পারফরম্যান্সের কোনো সম্পর্ক নেই।

তাহলে নির্বাচক কমিটি পরিবর্তনের কারণ কী? এই প্রশ্নের উত্তরে বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান যা বলেছেন, সেটার মর্মার্থ একটাই—একঘেয়েমি দূর করাই উদ্দেশ্য।

মিনহাজুল নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন ২০১১ সাল থেকে। ২০১৬ সালের জুন থেকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করার আগে শুধু নির্বাচকের ভূমিকায় কাজ করছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার।

জাতীয় দলের তিন নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন (মাঝে), হাবিবুল বাশার (বাঁয়ে) ও আবদুর রাজ্জাককে অন্য ভূমিকায় দেখা যেতে পারে

দীর্ঘদিন যেহেতু হলো, এবার এই পদে বিসিবি একটু পরিবর্তন দেখতে চায়। তবে বর্তমান কমিটির মেয়াদ না বাড়লেও তাঁদের সম্মানের সঙ্গে বিদায় দিতে চায় বিসিবি। এটাও জানা গেছে, নির্বাচক কমিটিতে না রাখলেও তাঁদের অন্য কোনো সম্মানজনক পদে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বিসিবি।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদর্শনী ম্যাচের পুরস্কার দিতে এসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নির্বাচক কমিটি নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। নির্বাচক কমিটির অংশ হতে সাবেক ক্রিকেটার হতে হবে কি না, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘এই রকম আসলে কিছু নেই।’

নাজমুল এরপর যোগ করেন, ‘পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। লম্বা সময় হয়েছে। সব সময়ই পরিবর্তন হওয়াটা ভালো।’ ভারতে হয়ে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার অভিযোগ নির্বাচকদের দিতে চান না নাজমুল, ‘কাউকে দায় দিয়ে বাদ দেওয়া, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাদ দেওয়া, এটা খুব খারাপ ঘটনা সৃষ্টি করবে।’

মোহাম্মদ আশরাফুল নির্বাচক হতে আগ্রহী

জানা গেছে, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল নির্বাচক হতে আগ্রহী। এ ব্যাপারে বোর্ডের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের একটা কমিটি আছে, ওই কমিটি আমাদের কাছে নাম প্রস্তাব করবে। কমিটি দেখবে কারা কারা আগ্রহী আর ওদের অগ্রাধিকার কী। সেটা নিয়ে বোর্ডে আলোচনা হবে। সেখান থেকে আমরা নির্বাচন করব। আসলে কে কে হবে, কে আসবে—এই মুহূর্তে এটা বলা খুব কঠিন। তবে কারও যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে সে প্রকাশ করতে পারে। কোনো সমস্যা নেই।’