বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে পাকিস্তান দল খুঁজে ফিরছে রিভার্স সুইং। ভারতীয় কন্ডিশনে রিভার্স সুইংয়ের সুবিধা বাকি ম্যাচগুলোতে আদায় করে নিতে চান পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন।
পিসিবি ডিজিটালকে (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ‘এক্স’ হ্যান্ডল) ব্র্যাডবার্ন বলেছেন, ভারতীয় কন্ডিশনে ক্রিকেট বল দ্রুতই অমসৃণ হয়ে পড়ে। মোটামুটি ২০ ওভার পরই বলের এই অবস্থা রিভার্স সুইংয়ের জন্য সুবিধাজনক।
এবারের বিশ্বকাপে আজই প্রথম বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে। পাকিস্তান দলের কোচ বলেছেন, এই মাঠ সম্পর্কে নিজেদের সম্যক ধারণার কথাই, ‘এই মাঠ সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে। এখানে ২০ ওভার পরই বল এবড়োখেবড়ো হয়ে যায়। কিছুটা নরমও হয়। এ কারণে ইনিংসের শেষ দিকে এখানে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে দ্রুতগতিতে রান তোলা কঠিন।’ এই কন্ডিশনকে রিভার্স সুইংয়ের জন্য আদর্শই মনে করেন পাকিস্তানের হেড কোচ, ‘এই কন্ডিশনে রিভার্স সুইং খুব ভালো করা যাবে। এই ব্যাপারগুলো আমরা ক্রমশ বুঝতে পারছি।’
বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে খেলে এখনো পর্যন্ত দুটিতে জিতেছে পাকিস্তান। হেরেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে সহজে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ৩৪৪ রান তাড়া করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডও গড়েছে বাবর আজম–মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। তবে গত শনিবার আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৯১ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৭ উইকেটের হারটি তাদের যথেষ্ট পোড়াচ্ছে। সমালোচনায় মুখর সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা। দারুণ শুরুর পরেও ব্যাটসম্যানদের অমার্জনীয় ব্যর্থতা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪৫ রান তাড়া করে জয়ের কৃতিত্বকেও ঢেকে দিয়েছে।
প্রধান কোচ ব্র্যাডবার্ন এই সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন, ‘এই ম্যাচে পাকিস্তান দলের ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। সবাই দলকে জয়ী দেখতে চেয়েছিল। সেটি না হওয়ায় সমালোচনা হচ্ছে। সবাই খুব গভীরভাবেই সবকিছু বিশ্লেষণ করছেন। আমি তো মনে করি, আহমেদাবাদের ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। এ ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের পরের ম্যাচগুলোতে দারুণ কাজে দেবে।’
আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ, ‘এই ম্যাচে আমরা প্রচণ্ড বিরুদ্ধচারণের দর্শকের সামনে খেলেছি। অনেকটা স্রোতের বিপরীতে লড়াইয়ের মতোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আহমেদাবাদের দর্শক সমর্থন পুরোপুরিই ছিল প্রতিপক্ষের সঙ্গে। তবে আমরা যখন ভালো ব্যাটিং করছিলাম, তখন এই দর্শকদেরই নীরবতা ছিল খুবই উপভোগ্য ব্যাপার।’
পাকিস্তানের আজকের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলের অবস্থা অবশ্য আরও খারাপ। প্যাট কামিন্সের দল বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে জিতেছে একটিতে। প্রথম দুই ম্যাচে তারা উড়ে গেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে জয়টি তাদের আশা টিকিয়ে রেখেছে। অস্ট্রেলিয়াও যে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো মূল্যে জিততে চাইবে, সে কথাও জানিয়েছেন কোচ ব্র্যাডবার্ন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে কাজ করেছি। আমরা জানি দলটা কেমন। আমরা তাদের খেলার ধরনটা খুব ভালো করেই জানি। তাদের শক্তি সম্পর্কে ধারণা আছে। কী করলে, কী হবে, সেটিও আমরা ভালো জানি।’