বিপিএলে ৩৫ দিনের লিগ পর্ব শেষে প্লে–অফে ওঠা চার দলে বইছে খুশির বাতাস। ৭ দলের টুর্নামেন্ট থেকে হতাশা নিয়ে ছিটকে পড়েছে তিন দল। দলগুলোর এই আনন্দ–বেদনার মধ্যেই আবার ক্রিকেট অনুরাগীরা মেলাতে বসেছেন প্রাপ্তি–অপ্রাপ্তির হিসাব। এবারের বিপিএল থেকে কী পেলাম আর কী হারালাম—এমন হিসাবও কষছেন অনেকে। ব্যক্তিগত অর্জনে স্থানীয় ক্রিকেটারদের খেরোখাতায় কী প্রাপ্তিযোগ—এটাও মিলিয়ে দেখছেন কেউ কেউ।
আলিস আল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শহীদুল ইসলাম—তিনজন তিন দলে তিন ভূমিকায় খেলছেন। তিনজনের দলই উঠেছে প্লে–অফে। দলের এই অর্জনে দারুণ অবদান রেখেছেন তাঁরা তিনজন। এবারের বিপিএল তাঁদের জন্য ছিল নিজেদের ফিরে পাওয়ার মঞ্চও। চোট, প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশন ও নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁদের। সেদিক থেকে ফেরাটা স্মরণীয়ই করে রেখেছেন আলিস, সাইফউদ্দিন ও শহীদুল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের স্পিনার আলিস লিগ পর্বে ৮ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন। পরিসংখ্যানটা অনেকের কাছেই হয়তো আহামরি লাগবে না। কিন্তু ‘ইমপ্যাক্ট’ বলে যে শব্দটা ক্রিকেটে প্রচলিত আছে, সেটা ভালোভাবেই রেখেছেন কুমিল্লার অফ স্পিনার।
আলিসের উত্থান বিপিএল দিয়েই। ২০১৯ বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় ওই ম্যাচের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স। অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলেও বিপিএলে আরও ২১ দিন খেলার সুযোগ ছিল আলিসের। কিন্তু নিজের চতুর্থ ম্যাচে হাঁটুর চোটে ছিটকে যান। চোট কাটিয়ে ও বোলিং অ্যাকশন শুধরে খেলায় ফিরতেই লেগে গেছে ২ বছর। সেই আলিস এবারের বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছেন। আগামী মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাঁকে।
একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জন্য বাংলাদেশের যে হাহাকার, সেটা সাইফউদ্দিনকে দিয়ে পূরণ হতে পারত কিংবা এখনো সম্ভব বলে বিশ্বাস অনেকের। কিন্তু চোট তাঁর ক্যারিয়ারে বারবার থাবা বসিয়েছে। সর্বশেষ পিঠের চোট থেকে সেরে উঠতে সাইফউদ্দিনকে কাতারে পাঠিয়েছিল বিসিবি। পুরোপুরি সেরে উঠে ফিরেছেন এই বিপিএল দিয়েই। ফরচুন বরিশালের হয়ে ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। ইকোনমি রেটও দুর্দান্ত ৬.৩৫। বোলিংয়েও কিছুটা বৈচিত্র্য এনেছেন, ব্যাটিংও খুব একটা খারাপ করেননি। ৪ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে আউট হয়েছেন মাত্র একবার, করেছেন ৬৩ রান। কিন্তু স্ট্রাইক রেট ১৮৫.৩০! এবারের বিপিএলে বরিশালের ‘ইমপ্যাক্ট’ খেলোয়াড় তাঁকে বলাই যায়।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার শহীদুল ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। তিনি ২০২২ সালে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ১০ মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। গত বছরের ২৮ মার্চ তাঁর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়। ২০২৩ বিপিএল এর আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় গতবার খেলতে পারেননি। তবে এবার চট্টগ্রামে সুযোগ পেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির আস্থার প্রতিদান ভালোভাবেই দিচ্ছেন।
আফিফ হোসেন ও নাসুম আহমেদকে বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলের নিয়মিত মুখই বলা যায়। বিকল্প বিদেশি না থাকায় আফিফ ও নাসুমের কাছ থেকে প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিল খুলনা টাইগার্সের। তবে এ দুজন প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থই হয়েছেন।
১২ ম্যাচে ২৭৮ রান করে শীর্ষ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় আফিফ নবম স্থানে থাকলেও সেটা খুলনার তেমন কাজে আসেনি। টুর্নামেন্টে ফিফটি আছে মাত্র একটি। সেটাও গতকাল সিলেটের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে। স্ট্রাইক রেটও টি-টোয়েন্টিসুলভ নয়—১২০.৮৬। সেটাও টানা ১১ হারে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে আসর শেষ করা দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ২১ বলে ৪৩ রানের ইনিংসের কল্যাণে। বাঁহাতি স্পিনার নাসুমও এবার বলার মতো কিছু করতে পারেননি। ১০ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৮টি।
জাতীয় দলে আবির্ভাবের পর থেকেই ধারাভাবিকভাবে রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে হৃদয়ের ব্যাটে ছিল রানখরা। বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে ৭৮.০৯ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ১৬৪ রান। তবে এবারের বিপিএলে আবারও হেসেছে তাঁর ব্যাট। বিপিএলে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ১৪৯.৬০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩৮৩ রান। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের এ ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় আছেন ২ নম্বরে। ৯ ফেব্রুয়ারি আসরের প্রথম শতকও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ঢাকার বিপক্ষে অপরাজিত ছিলেন ১০৮ রানে। এক ম্যাচ পরই আরেকটি শতক পেতে পারতেন। হয়ে যেতেন বিপিএলের এক আসরে দুটি শতক করা প্রথম বাংলাদেশি। কিন্তু খুলনার দেওয়া লক্ষ্যটা হৃদয়ের জন্য ‘অপর্যাপ্ত’ হয়ে গিয়েছিল। ৯১ রান করে কুমিল্লাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন অপরাজিত থেকে। তানজিদ হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২০টি ছক্কাও মেরেছেন হৃদয়।
আকাশে উড়তে উড়তে হঠাৎ করেই পপাত ধরণিতল—২০২৩ বিপিএলের সঙ্গে নাজমুল হোসেনের ২০২৪ বিপিএলকে এভাবেই হয়তো সংজ্ঞায়িত করা যায়। গত বিপিএলে ১৫ ম্যাচে ৫১৬ রান করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। সিলেটকে প্রথমবার বিপিএলের ফাইনালে তুলতে দারুণ অবদান রেখে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন। সেই নাজমুল এবার সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষ বিশেও নেই! ১২ ম্যাচে মাত্র ১৪.৫৮ গড়ে করেছেন ১৭৫ রান, স্ট্রাইক রেটও টি–টোয়েন্টির দাবি মেটানোর মতো নয়—৯৩.৫৮, নেই কোনো অর্ধশতকও। গতবারের ফাইনালিস্ট সিলেটের এবার পয়েন্ট তালিকার ছয়ে থেকে আসর শেষ করার অন্যতম কারণও ব্যাট হাতে নাজমুলের এমন ‘শান্ত’ থাকা। অথচ এবারের বিপিএলে তাঁর জন্য বড় প্রেরণা হতে পারত তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব পাওয়া, যে খবরটা তিনি পেয়েছিলেন টুর্নামেন্টের মাঝপথে।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন ২০২২ সালে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও তিনি আর চলেন না বলে শোরগোল ছিল। সেই তামিম ইকবালই ৩৯১ রান নিয়ে এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ফরচুন বরিশালকে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন তামিম। টুর্নামেন্টে মাত্র দুটি অর্ধশতক পেলেও ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন এ ওপেনার। ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে এক অঙ্কে আউট হওয়া সেটারই প্রমাণ।
তামিমকে আদর্শ মেনে বেড়ে ওঠা আরেক তামিম—মানে তানজিদ হাসানের ব্যাটও হাসছে ধারাবাহিকভাবে। ১১ ম্যাচে ৩৮২ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় তিনে আছেন তানজিদ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এ ওপেনারের দুটি অর্ধশতকের সঙ্গে একটি শতকও আছে। টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি ২০টি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। রান তুলেছেন ১৩৬.৪২ স্ট্রাইক রেটে।
দল লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়লেও ওপেনারদের মধ্যে আরও রান পেয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদ নাঈম (৩১০) ও খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক (২৯৬)। কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাসও ২৯২ রান নিয়ে শীর্ষ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় ৮ নম্বরে আছেন। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত শীর্ষ ১০ রানসংগ্রাহকের পাঁচজনই ওপেনার এবং তাঁদের সবাই বাংলাদেশি। লিটন–তানজিদদের এমন ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের জন্য বড় ইতিবাচক দিকই।
বাংলাদেশের পিচগুলো স্পিনবান্ধব হলেও এবারের বিপিএলে দাপট দেখাচ্ছেন পেসাররা। এখন পর্যন্ত শীর্ষ ১০ উইকেটশিকারির ৭ জনই পেসার—ঢাকার পেসার শরীফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ, চট্টগ্রামের বিলাল খান ও শহীদুল ইসলাম, রংপুরের হাসান মাহমুদ, কুমিল্লার মোস্তাফিজুর রহমান ও সিলেটের তানজিম হাসান। ১২ ম্যাচের ১১টিই হেরে শরীফুলের দল ঢাকা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়লেও ২২ উইকেট নিয়ে তিনিই এখন পর্যন্ত উইকেট সংগ্রহের শীর্ষে। এবারের বিপিএলে প্রথম হ্যাটট্রিকও তিনিই করেছেন। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় থাকা এই সাত পেসারের মধ্যে শুধু একজন বিদেশি—ওমানের বিলাল।
শরীফুল ছাড়া শীর্ষ ১০–এ থাকা বাংলাদেশের বাকি ৫ পেসার—হাসান ১৩, তাসকিন ১৩, মোস্তাফিজ ১১, তানজিম ১১ ও শহীদুল নিয়েছেন ১১টি উইকেট। আসরের সেরা দুটি বোলিং ফিগারও দুজন পেসারের—রংপুরের আবু হায়দার ১২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট, কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার আমের জামাল নিয়েছিলেন ২৩ রানে ৫ উইকেট।
বিপিএলের আগের ৯ আসরের ৪টিতেই হয়েছেন টুর্নামেন্ট–সেরা। সেই সাকিব আল হাসান এবার কোনোটিতে ম্যাচসেরা হবেন কি না, একসময় সেই প্রশ্ন উঠেছিল। সাকিবের চোখের সমস্যার কথা কমবেশি সবারই জানা। সেই সমস্যা নিয়েই রংপুরের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন। তামিমের বরিশালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে ২ উইকেট নিলেও রান করেছিলেন মাত্র ২। ওই ম্যাচের পর চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন। তাই মিস করেছেন দ্বিতীয় ম্যাচ।
সিলেট পর্ব দিয়ে খেলায় ফিরলেও পুরোনো সাকিবকে কিছুতেই ফিরে পাওয়া যাচ্ছিল না। সিলেটে দুটি ম্যাচে ব্যাট করেননি। বাকি যে দুই ম্যাচে খেলেছেন, সেখানে তাঁর রান ২ ও ০! এ পর্বে চার ম্যাচ খেলে উইকেটও নিয়েছেন মাত্র ৪টি।
সেই সাকিব ঢাকায় দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান, সেটা বয়ে নিয়ে যান চট্টগ্রামেও। নিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র ৪ রান করা আর বল হাতে ৬ উইকেট নেওয়া সাকিব পরের ৬ ম্যাচে করেছেন ৪০.৮৩ গড়ে ২৪৫ রান, উইকেট নিয়েছেন আরও ১১টি। ৫০–এর কম স্ট্রাইক রেট তরতরিয়ে বেড়ে হয়েছে ১৬৪.২৪, যা এবারের আসরে কমপক্ষে ৫০ বল খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর মোট ১৭ উইকেট নিয়ে বর্তমানে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের পর সাকিব আরেকটি টুর্নামেন্ট–সেরার পুরস্কার জিততে যাচ্ছেন কি না, সেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
‘ছেলেটার চেহারা (গায়ের রঙ) হয়তো একটু কালো। আমার মনে হয় এ কারণে বোর্ডও (বিসিবি) তাকে ঠিকমতো দেখে না’ —জাকের আলী জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে এভাবেই আক্ষেপের কথা শুনিয়েছিলেন কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন জাকের। দুর্দান্ত খেলছেন এবারের বিপিএলেও। কতটা দুর্দান্ত? এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় তো তাঁরই—৮৯.৫০!
মূলত ফিনিশারের ভূমিকাই পালন করছেন জাকের। ফিনিশাররা যে জায়গায় ব্যাট করে থাকেন, জাকেরও কুমিল্লার বেশির ভাগ ম্যাচে সে জায়গাতেই নামছেন—লোয়ার মিডল অর্ডার। এই পজিশনে ব্যাট করলে স্বাভাবিকভাবেই বেশি বল খেলার সুযোগ থাকে না, কিন্তু দায়িত্ব থাকে বেশি। প্রথম বল থেকেই চালিয়ে খেলার বিশাল দায়িত্ব। আগে ব্যাট করলে শেষ দিকে দলের রান যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিতে হয় তাঁদের, আর পরে ব্যাট করলে রান তুলতে হয় লক্ষ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। জাকের এবারের বিপিএলে সেই কাজটা ভালোভাবেই করেছেন। ৯ ইনিংসের ৭টিতেই অপরাজিত থাকা সেটারই জানান দিচ্ছে। স্ট্রাইক রেটও ‘লেটার মার্কস’ পাওয়ার মতো—১৫১.৬৯। জাকের তাই জাতীয় দলে খেলার দাবিটা জানিয়ে রাখতেই পারেন।
পরশুই ২৬তম জন্মদিনের কেক কাটা এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান দেশের হয়ে খেলেননি, তা নয়। তবে সেটা এশিয়ান গেমসে। বিশ্বকাপের সঙ্গে সূচি সাংঘর্ষিক হওয়ায় গত বছর চীনের হাংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল বিসিবি। সেই দলের হয়ে তিনটি ম্যাচেই খেলেছেন জাকের। সেখানেও তিনি ছিলেন অপরাজিত—১৪*, ২৪*, ০*।