তাঁর মাথা থেকেই বের হয়েছিল আইপিএলের ধারণা। তাঁর হাত ধরেই শুরু আইপিএলের পথচলা। ললিত মোদিকে তাই আইপিএলের জনক বলাই যায়। ২০০৮ সালে যে আইপিএলের পথচলা শুরু হয়েছিল, গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ দিয়ে সেটি ছুঁয়েছে ১০০০তম ম্যাচের মাইলফলক। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাইয়ের স্মরণীয় জয়ের দিনে আইপিএলের এই মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে আপ্লুত ললিত মোদিও। তাঁর আশা, খুব শিগগির আইপিএল হবে খেলাধুলার দুনিয়ায় সবচেয়ে দামি লিগ।
২০০৮ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে আইপিএল এগিয়ে যাচ্ছে দুর্দান্ত গতিতে। ক্রিকেটের ঘরোয়া লিগগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সবচেয়ে দামি। শুধু তাই নয়, আয়ের দিক থেকে বিশ্বের অন্য খেলার বড় বড় লিগগুলোর সঙ্গেও দারুণভাবে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে আইপিএল, অনেক লিগের চেয়ে এগিয়েও। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, আইপিএলের এখনকার মূল্যমান এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালের পর এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় গুণ বেড়েছে আইপিএলের প্রচারস্বত্বের মূল্য, এই মুহূর্তে যা ৬২০ কোটি ডলার।
নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত এই আইপিএলের এমন উত্থানে মোদি খুবই উচ্ছ্বসিত। গতকাল আইপিএলের ১০০০তম ম্যাচ শেষে ক্রিকবাজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই আবেগের সময়। যেভাবে আইপিএল দ্রুত বেড়ে উঠেছে এবং দামের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা লিগ হয়ে উঠেছে, সেটা দেখা দারুণ ব্যাপার।’
সব খেলা মিলিয়ে এটা বিশ্বের ১ নম্বর লিগ হতে আর খুব বেশি দেরি নেই। এই মুহূর্তে আইপিএল ২ নম্বরে, এফএফএলের (যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগ) পেছনে। যে হারে এবং গতিতে আইপিএল এগোচ্ছে, সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়।ললিত মোদি
নানা বিতর্কে জড়িয়ে ২০১০ সালেই আইপিএলের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হয় মোদির। অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ২০১৩ সালে তাঁকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে নিজেকে এখনো আইপিএলের ও ক্রিকেটের শুভাকাঙ্ক্ষীই ভাবেন মোদি। তাঁর আশা, আইপিএল দামের দিক থেকে বিশ্বের ১ নম্বর লিগ হবে, ‘দিন দিন আইপিএলের শক্তি বেড়েই যাচ্ছে। সব খেলা মিলিয়ে এটা বিশ্বের ১ নম্বর লিগ হতে আর খুব বেশি দেরি নেই। এই মুহূর্তে আইপিএল ২ নম্বরে, এফএফএলের (যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগ) পেছনে। যে হারে এবং গতিতে আইপিএল এগোচ্ছে, সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়।’
ক্রিকেটের উন্নতিতে আইপিএল কতটা ভূমিকা রেখেছে, মোদি সেই ব্যাখ্যা দিলেন আফগানিস্তানের উদাহরণ টেনে, ‘আফগানিস্তানের মতো দেশ মূলত আইপিএল থেকেই উপকৃত হয়েছে। ক্রিকেট জাতি হিসেবে আফগানিস্তানের উত্থানের পেছনে আইপিএলের বড় ভূমিকা। আপনি দেখবেন, বিশ্বের দারুণ দারুণ কিছু খেলোয়াড় আফগানিস্তানের হয়ে খেলে এবং সেটা হয়েছে আইপিএলের কারণেই। এই লিগ শুধু ভারতীয় খেলোয়াড়দেরই ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়নি, অনেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের ভাগ্যও বদলে দিয়েছে, বিশেষ করে আফগান খেলোয়াড়দের।’