বাংলাদেশের অনুশীলনে সালমা ও শামীমা
বাংলাদেশের অনুশীলনে সালমা ও শামীমা

স্পিন-ভীতি থেকেই যাচ্ছে

স্পিন, স্পিন আর স্পিন!

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চলমান নারী এশিয়া কাপে এটি যেন আবহ সংগীত। মাঠের খেলায় স্পিনের আধিপত্য, অনুশীলনেও তা–ই। আজ যেমন বাংলাদেশ নারী দলের অনুশীলনে স্পিনারদেরই বেশি ব্যস্ত মনে হলো। দুই পেসার জাহানারা আলম ও রিতু মনিও বোলিং করেছেন। কিন্তু সেটি স্পিনার রুমানা-সালমাদের তুলনায় বেশ কম।

কাল থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ১ নম্বর মাঠে নারী এশিয়া কাপের খেলা হবে। সে জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ১ নম্বর মাঠ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে এ মাঠেই। এর আগে ২ নম্বর মাঠে এশিয়া কাপের প্রথম পাঁচ দিনের খেলা হয়েছে। মন্থর ও নিচু বাউন্সের জন্য ২ নম্বর মাঠের উইকেটও হয়েছে সমালোচিত।

এবার ১ নম্বর মাঠের উইকেট কিছুটা স্পোর্টিং হবে বলেই আশা বাংলাদেশ দলের। তবে কদিন আগে অনুষ্ঠিত নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুটি মাঠেই বল বাঁক খেয়েছে, নিচু হয়েছে। তাতে রানও হয় কম। আজ বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন।

সানজিদার কথা, ‘দেখুন, প্রথমত আমরা এনসিএল এখানে খেলে গেছি। দুইটা মাঠেই সমানভাবে খেলা ছিল। আমরা যেহেতু গত ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে স্পিন উইকেটে খেলেছি। ১ নম্বর মাঠেও স্পিন আছে। এখন নির্ভর করছে উইকেটের দেখাশোনা কেমন হয়েছে, যেহেতু এটা নতুন একটা টুর্নামেন্ট।’

মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ দল

কাল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হবে বেলা দেড়টায়। টুর্নামেন্টে কালই প্রথম দুপুরে ম্যাচ খেলবেন নিগাররা। সেটিরও একটা প্রভাব থাকবে বলে মনে করেন সানজিদা, ‘সকালে যখন খেলি, বৃষ্টি ও কুয়াশা থাকে। সে ক্ষেত্রে লাঞ্চের পর যখন আমরা খেলব, উইকেট আলাদা থাকবে, রোদ থাকবে। আশা করা যায় তখন উইকেট একটু ফ্ল্যাট হবে।’

মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশের মেয়েরা দেখছেন ছন্দে ফেরার সুযোগ হিসেবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে পরাজয়ের ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে একটি জয় দরকার বাংলাদেশের মেয়েদের। সানজিদার কথায় সে আভাসই পাওয়া গেল, ‘হার-জিত দলে থাকবেই, এটা নিয়ে কোনো নেতিবাচকতা আমাদের নেই। আমরা ইতিবাচক আছি, পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াব।’

ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে চলছে প্রস্তুতি

প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখছেন না বাংলাদেশের মেয়েরা। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে কদিন আগে শেষ হয়ে যাওয়া কমনওয়েলথ গেমসে খেলেছে বাংলাদেশ। সে অভিজ্ঞতা থেকেই সানজিদা বলছিলেন, ‘আসলে প্রতিপক্ষকে ছোট বা বড় করে দেখার উপায় নেই। কারণ, সবাই জেতার জন্য এসেছে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে প্রতিপক্ষ যে–ই হোক, শুরু ও শেষটা যেন ভালো হয়। মালয়েশিয়ার সঙ্গে কমনওয়েলথে মুখোমুখি হয়েছি। ওদের দল নিয়ে ধারণা আছে। আশা করি ভালোই হবে।’