ইংল্যান্ডের মতো দলকে ১১৭ রানেই আটকে রাখা, যে লক্ষ্য পেরোলেই সিরিজ জয়—ড্রেসিংরুমে ম্যাচের মাঝপথে একটা রোমাঞ্চই বয়ে যাওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ দলের প্রতি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বার্তা ছিল, তখনো খুশি হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। জিতলেই উপভোগ করা হবে, এমন বলেছিলেন অধিনায়ক।
চট্টগ্রামের পর মিরপুরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে কোনো সংস্করণেই এটি প্রথম সিরিজ জয় এটি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি রূপ নিয়েছিল ‘লো স্কোরিং থ্রিলার’-এ, তবে বোলিংয়ে বাংলাদেশ ছিল দাপুটে।
তাসকিন আহমেদ প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেওয়ার পর সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদরা নিয়মিত আঘাত করে গেছেন। সফরকারীদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা অবশ্য ৪ ওভারে ১২ রানে ৪ উইকেটের ফিগারে করেছেন মিরাজই।
দলের প্রতিনিধি হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন জয়ের নায়ক এ অলরাউন্ডার। ম্যাচের মাঝপথে ড্রেসিংরুমের আবহ কেমন ছিল, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক বলেছিলেন, “খুশি হওয়ার কোনো কিছু নেই এখনো। খেলাটা শেষ হলেই আমরা উপভোগ করব।” প্রতিটা মুহূর্তে যেন সিরিয়াস থাকি, আর সবাইকে সমর্থন দিই। ব্যাটিংয়ে গিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি।’
ইংল্যান্ড ম্যাচে ব্যাকফুটে চলে গেছে মূলত তাদের ব্যাটিংয়ের সময়ই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা ভালো হলেও আবারও পথ হারিয়েছে তারা।
প্রতিপক্ষের ব্যাটিং নিয়ে বলতে গিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘ওরা কিন্তু শুরুতে খুবই ভালো করেছিল। সাকিব ভাই ও হাসান মাহমুদ ব্রেকথ্রু দিল, আমিও উঠোউঠি উইকেট নিলাম। সেটাই মানসিক দিক দিয়ে ওদের পিছিয়ে দিয়েছে। পরপর উইকেট পড়লে যেকোনো দলের জন্যই কঠিন। সে সময় উইকেটগুলো না পড়লে হয়তো ১৬০ করে ফেলতে পারত ওরা, ভুলগুলো না করলে। আমাদের বোলারদের তাই কৃতিত্ব দিতে হবে। ৬ ওভারে ৫০ রান তোলার পর ১৬০-৭০ তো হতেই পারত। আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, সব মিলিয়ে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে বেশ।’
ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে বড় একটা অবদান ছিল মিরাজের। প্রথম ম্যাচে না থাকলেও ইংল্যান্ড দলে বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উপস্থিতিতে আজ ফেরানো হয় তাঁকে। সে সুযোগটা দারুণভাবেই কাজে লাগালেন তিনি। মিরাজ খুশি দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেই।