রোহিত শর্মাকে তিনিই ভারত দলের অধিনায়ক বানিয়েছিলেন, তবে সে ব্যাপারটি এখন সবাই ভুলে গেছে—এমন বলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। অবশ্য বিরাট কোহলির অধিনায়ক হিসেবে সরে যাওয়ার পেছনে তাঁর প্রভাব আছে, এর আগে এ ব্যাপারটি অস্বীকার করেছিলেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর ওই সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। তাঁর বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ভারত দলকে টেস্ট ও ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিতে তিনি পুরো প্রস্তুত থাকতে চান।
তবে এরপর রোহিতকে সীমিত ওভারের দুই সংস্করণেই অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে বিসিসিআই। তখন বোর্ডটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ। এরপর টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ারও ঘোষণা দেন কোহলি, যে দায়িত্বও পরে রোহিতকে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে কোহলি বলেছিলেন, ‘আমি তাঁদের (নির্বাচকদের) বলেছিলাম, ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যাব। আমি তাঁদের এটাও পরিষ্কার করে বলেছিলাম, যদি কর্মকর্তারা বা নির্বাচকেরা আমাকে এর যেকোনো একটি দায়িত্ব সামলাতে দিতে না চান, তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই। বিসিসিআই যখন আমার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে যোগাযোগ করে, তখন আমি পরিষ্কার করে বলেছিলাম সেটি।’
এর এক দিন পর সৌরভ ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা (কোহলিকে রাখার) ব্যাপারটি বিবেচনা করেছিলাম। কিন্তু আপনি যদি রোহিত যে কয়েকটি ম্যাচেই ভারতকে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেগুলোর রেকর্ড দেখেন—বেশ ভালো। মোদ্দা কথা হচ্ছে—সাদা বলে দুজন অধিনায়ক থাকতে পারবে না। রোহিতকে সাদা বলের অধিনায়ক করার এটিই প্রাথমিক কারণ।’
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলা রিয়েলিটি শো ‘দাদাগিরি আনলিমিটেডে’ কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে তাঁর কোনো প্রভাব ছিল না বলে উল্লেখ করেন সৌরভ। যদিও এরপর বলেন, ‘আমি তাকে (কোহলিকে) বলেছিলাম, যদি তুমি টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী না হও, তাহলে তোমার সাদা বলের পুরোটা থেকে সরে যাওয়াই ভালো হবে।’
এবার কলকাতার বাংলা সংবাদপত্র আজকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ সে ঘটনার দিকে ফিরে তাকিয়ে বলেছেন, ‘আমি যখন রোহিতকে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করেছিলাম, তারা সবাই আমার সমালোচনা করেছিল। এখন ভারত যখন তার অধীনে একটা শিরোপা জিতেছে, কেউ আর সমালোচনা করছে না। তারা এটাও ভুলে গেছে আমি তাকে অধিনায়ক বানিয়েছিলাম।’
রোহিতের অধীনে সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। যেটি ২০১৩ সালের পর তাদের প্রথম বৈশ্বিক কোনো ট্রফি, ২০১১ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে হারানোর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রোহিত ও কোহলি দুজনই।