সব ঠিক থাকলে এই মুহূর্তে তাঁর সিলেটে নয়; থাকার কথা ছিল ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট ভিনসেন্টে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করার লক্ষ্যে আগামীকাল তিনিই টস করতে নামতেন।
কিন্তু কুঁচকির চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে দেরি হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায়নি নাজমুল হোসেন। তবে ফেরার লড়াইয়ে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক বিভাগীয় দল রাজশাহীর হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি খেলতে আসরের শুরু থেকেই আছেন সিলেটে।
গত শনিবার বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রত্যাবর্তনেই নাজমুল খেলেছিলেন ৮০ রানের ইনিংস। পরের তিনটি ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও আজ সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৭৮ রান করেছেন। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৫ ছক্কায়।
এরপর বোলিংয়েও ভেলকি দেখিয়েছেন নাজমুল। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট। তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই ২৬ রানে সান্ত্বনার জয়ে আসর শেষ করল রাজশাহী। বাঁচামরার ম্যাচটি হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল স্বাগতিক সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৮১ রান করেছিল রাজশাহী। রান তাড়ায় জিশান আলমের ঝোড়ো ফিফটিতে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা আশা দেখছিল সিলেট।
কিন্তু ব্যক্তিগত ৬০ রানে জিশান আউট হওয়ার পর তাদের ব্যাটিং লাইন আপ একরকম হুড়মুড়িয়ে পড়ে। ১২৬ থেকে ১৪২—আসাদউজ্জামানের দাপুটে বোলিং আর নাজমুল ‘কিপটে’ বোলিংয়ে মাত্র ১৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সিলেট।
রাজশাহী বিভাগ: ২০ ওভারে ১৮১/৮ (নাজমুল ৭৮, সাব্বির ৩০, হাবিবুর ২৫; খালেদ ৩/২৪, ইবাদত ২/২৯, তোফায়েল ২/৩৫)।
সিলেট বিভাগ: ২০ ওভারে ১৫৫/৮ (জিশান ৬০, পিনাক ২৭, তোফায়েল ১৮; আসাদউজ্জামান ৪/২৪, কিবরিয়া ১/৮, সাব্বির ১/১৪, নাজমুল ৪/১৯)।
ফল: রাজশাহী বিভাগ ২৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন।
সকালের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগকে ১৭ রানে হারিয়েছে ঢাকা মহানগর। এর মধ্য দিয়ে লিগ পর্বে সাত ম্যাচের সাতটিতেই জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে প্লে-অফে খেলতে নামবে মোহাম্মদ নাইমদের দল।
সিলেট আউটার গ্রাউন্ডে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান করেছিল ঢাকা মহানগর। ফিফটি করেন দুই অভিজ্ঞ শামসুর রহমান ও মার্শাল আইয়ুব। তামিম ইকবালহীন চট্টগ্রাম জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানে থামে। এই হারের পরও আপাতত পয়েন্ট তালিকার তিনে আছে চট্টগ্রাম।