মেয়েদের তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে অল্পতেই বেঁধে ফেলেছে ভারত
মেয়েদের তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে অল্পতেই বেঁধে ফেলেছে ভারত

৮৫/২ থেকেও ১১৭ রানেই থেমেছে বাংলাদেশের মেয়েরা

দারুণ শুরুর পরও সিলেটে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ১১৭ রানেই আটকে গেছে বাংলাদেশ। ১৪তম ওভারেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮৫ রান। তবে মাঝের ওভারগুলোতে আবার গুচ্ছাকারে উইকেট হারিয়ে পথ হারায় স্বাগতিকেরা। ইনিংসে ৩ ব্যাটার হয়েছেন রানআউট।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুর গল্পটা ছিল দিলারা আক্তারের। আগের দুই ম্যাচে টসে জেতা দল ব্যাটিং নিলেও মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে এবার ফিল্ডিং নেন হারমানপ্রীত কৌর। তবে দিলারার শট খেলার মনোভাব ছিল শুরু থেকেই। দ্বিতীয় ওভারে পূজা বস্ত্রকরকে প্রথম চার মেরে শুরু করেন, পাওয়ার প্লেতেই বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৪৪ রান।

সপ্তম ওভারে মুর্শিদার রানআউটে ভাঙে ৪৬ রানের সে জুটি। দিলারাকে সে পর্যন্ত সঙ্গ দেওয়ার কাজটিই শুধু করছিলেন মুর্শিদা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রি হিটে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে ১৬ বলে ৯ রান করে। রাধা যাদবের বলে কাভারে ক্যাচ তোলার পথে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়েছিলেন, ফেরার কথা যেন শুরুতে মনেই ছিল না তাঁর।

উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ রান করেন দিলারা–মুর্শিদা

এরপরও গত ২৮ ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিটি পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের পরের ভাগে দিলারা ভাগ্যের সহায়তা পান একাধিকবার। ২৭ রানে হারমানপ্রীতের হাতে ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান, এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের ক্যাচ ফেললেন ভারত অধিনায়ক।

পরের বলে রানআউট হতে পারতেন, দিলারা এরপর আবার বাঁচেন মিডউইকেটে সজীবন সাজানার হাতে ক্যাচ তুলেও। শেষ পর্যন্ত রেনুকার লেগ সাইডের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে থামেন ২৭ বলে ৩৯ রান করে। গত জুলাইয়ের পর থেকে যা মুর্শিদা ছাড়া অন্য কোনো ওপেনারের সর্বোচ্চ স্কোর, দিলারারও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

দুই ওপেনার ফেরার পর নিগার সুলতানা ও সোবহানা মোস্তারি জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন, যদিও বাউন্ডারি মিলিয়ে যেতে থাকে। ১৪তম ওভারে পরপর ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে সে চাপ বাড়ে আরও। ডাইভ দিলেও ক্রিজে ব্যাট রাখতে ব্যর্থ সোবহানা রানআউট, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলেই এলবিডব্লু ফাহিমা খাতুন। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ‘গোল্ডেন ডাক’ পেলেন ফাহিমা, বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

ওপেনার দিলারা সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন

১৮তম ওভারে শ্রেয়াঙ্কাকে চার মেরে ৩৮ বলের বাউন্ডারি-খরা কাটান নিগার। শেষ দিকে একটা লাফ দেবেন, এমন ইঙ্গিত দিলেও রাধার বলে এলবিডব্লু হয়ে থামতে হয় তাঁকে। যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি ছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, সেটির যথেষ্ট কারণও ছিল। ক্রিজের বাইরে এসে খেলেছিলেন, বল লেগেছিল তাঁর প্যাডের বেশ ওপরে।

নিগারের ঠিক পরের বলে বোল্ড শরীফা, ম্যাচে দ্বিতীয়বার টানা ২ বলে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ৫ রান তুলতে পড়ে ২ উইকেট।