অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকার ওপর চটেছেন সুনীল গাভাস্কার
অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকার ওপর চটেছেন সুনীল গাভাস্কার

‘আগে নিজেদের প্রতারণার ভিডিও দেখো’—অস্ট্রেলীয় পত্রিকাকে গাভাস্কার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। শেষ ওভারে সূর্যকুমার যাদবের সেই অবিশ্বাস্য ক্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের দ্বিতীয় বিশ্ব শিরোপা। রোহিত শর্মাদের বিশ্বজয়ের ম্যাচটির হাইলাইটস কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখানো হলেও থাকবে সূর্যকুমারের নেওয়া সেই ক্যাচ

তবে সেই ক্যাচকে বিতর্কিত বলতেও ছাড়ছেন না অনেকে। শক্ত কোনো প্রমাণ না দেখিয়েই তাঁরা ক্যাচটির বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার একটি পত্রিকাতেও ক্যাচের বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেটি দেখেই খেপেছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার।

এখন ধারাভাষ্যকারের কাজ করা ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার নিজেও কলাম লেখেন বিভিন্ন পত্রিকায়। ভারতের চেন্নাইভিত্তিক ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস্টার–এ লেখা নিজের কলামে অস্ট্রেলিয়ার সেই পত্রিকার সমালোচনা করে উল্টো ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের প্রতারণার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন গাভাস্কার।

সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচ নেওয়ার দৃশ্য

প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া গাভাস্কার ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে নিয়ে তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘ফাইনালে সূর্যকুমার যে ক্যাচটি নিয়ে ডেভিড মিলারকে ফেরাল, সেটি নিয়ে একটি অস্ট্রেলীয় পত্রিকা প্রশ্ন তুলেছে। সব রিপ্লেতেই এটা পরিষ্কার—স্কাই (সূর্যকুমার) দারুণভাবে ভারসাম্য বজায় রেখে ক্যাচটি নিয়েছেন। প্রথমে বলটি ধরে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে বাউন্ডারি পেরিয়ে আবারও শূন্যে লাফিয়ে বাউন্ডারিতে ঢুকে অসাধারণ ক্যাচটি নিয়েছেন।’

এরপর অস্ট্রেলিয়ার সেই পত্রিকার দিকে ‘পাটকেল’ ছুড়েছেন গাভাস্কার, ‘কেউ ক্যাচটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল না; কিন্তু ওই নিবন্ধের লেখক প্রশ্ন তুলল। তার উচিত ছিল স্কাইয়ের ক্যাচটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে অনলাইনে ভেসে বেড়ানো অস্ট্রেলীয়দের সবচেয়ে লজ্জার ১০টি প্রতারণার ভিডিও দেখা। এ যেন সেই ‘‘পাতিল বলে, কেতলি তোর গায়ে এত কালি?’’’