টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গা নিশ্চিত ছিল বলা যাবে না। প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন মাতিশা পাতিরানার চোটের কল্যাণে।
সেই মোস্তাফিজই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু–কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের আগ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। যদিও ম্যাচ খেলেছেন এখন পর্যন্ত দুটি। সেই দুই ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ বা বেগুনি টুপির মালিক এখন বাংলাদেশের এই পেসার। ইনস্টাগ্রামে বেগুন টুপি মাথায় নিয়ে খেলার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে মোস্তাফিজ বলেছেন, ‘পার্পল ক্যাপ নিয়ে খেলতে পারার অনুভূতি দুর্দান্ত। আমি আমার সতীর্থ ও সমর্থকদের জন্য অভিভূত। এটা বিশেষ একটা অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। নিশ্চিতভাবেই এটাকে অনেক দিন লালন করব। সবার সমর্থন আর ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ। চিরজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এবারই প্রথম খেলছেন বাংলাদেশের এই পেসার। নতুন দলের হয়ে অভিষেকেই ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা আইপিএলে তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। এর পরের ম্যাচেই নেন ২ উইকেট। সেই ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে শুরুর দুই ওভারে মোস্তাফিজ ২৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
তবে ‘ডেথ ওভারে’ নিজের শেষ স্পেল করতে এসে দারুভাবে ঘুরে দাঁড়ান মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার এই ২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ফিরিয়েছিলেন গুজরাট টাইটানসের দুই হার্ড হিটার রশিদ খান আর রাহুল তেওয়াতিয়াকে।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে যাঁর উইকেট সর্বোচ্চ থাকে, পার্পল ক্যাপ তাঁকেই দেওয়া হয়। টুর্নামেন্ট সবেমাত্র শুরু হয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষে মোস্তাফিজ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি থাকতে পারবেন কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে পার্পল ক্যাপ বা বেগুনি টুপি ধরে রাখতে হলে বেশির ভাগ ম্যাচেই খেলতে হবে মোস্তাফিজকে। চেন্নাইয়ে এমন সুযোগ পেতে পারফর্ম করতে হবে তাঁকে। প্রথম দুই ম্যাচে সেটা তিনি করেছেন। সামনে পারবেন তো!