আইপিএলে ছন্দে নেই রোহিত
আইপিএলে ছন্দে নেই রোহিত

আইপিএলে ছন্দহীন রোহিত, দুশ্চিন্তার কারণ কি আছে ভারতের

৬, ৮, ৪, ১১, ৪, ১৯—সর্বশেষ ৬ ইনিংসে রোহিত শর্মার রান এগুলো। বিশ্বকাপের আগে ভারতের অধিনায়ক রোহিত নিজেই ছন্দ হারিয়ে নিজেকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আইপিএলে ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে রোহিত প্রায় ৪৫ গড় আর ১৩৮ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। প্রিয় সেই ইডেন গার্ডেনেও গতকাল ১৬ ওভারের ম্যাচে করেছেন ২৪ বলে ১৯ রান। যা ভাবনায় ফেলতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।

এবারের আইপিএলে রান করেছেন ১৩ ইনিংসে ৩৪৯। যা রোহিতের মতো একজন ক্রিকেটারের সামর্থ্যের পুরোটা নয়। অবশ্য আইপিএলে বছরের পর বছর ধরেই ব্যাটসম্যান হিসেবে নিষ্প্রভ রোহিত। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল—এই ৭ মৌসুমে আইপিএলে কখনো ৩০ গড়েও রান করতে পারেননি। এই সময়ে গড়ের হিসাবে তাঁর সেরা মৌসুম ছিল ২০২১। সেবার ১৩ ম্যাচে ২৯ গড়ে ৩৮১ রান করেছিলেন রোহিত।

এরপর ২০২২ মৌসুমে ব্যাটিং করেছেন ১৯ গড়ে আর ২০২৩ সালে ২০.৭৫ গড়ে।  আইপিএলে এবার তিনি অধিনায়ক নন। নির্ভার হয়েও তেমন কিছুই করতে পারলেন না।

২০১৯ সালের পর থেকে ওপেনার হিসেবে কমপক্ষে ১৫০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে কম, ১৩০.৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন রোহিত। যা বিশ্বকাপ দলে না থাকা ধীর গতির ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত লোকেশ রাহুলের (১৩২) চেয়েও কম।

মুম্বাইয়ের তো বটেই, কারও কারও মতে তো আইপিএলের সেরা অধিনায়ক রোহিত। মুম্বাইকে জিতিয়েছেন ৫টি শিরোপা। আইপিএলে এর চেয়ে বেশি শিরোপা কোনো অধিনায়ক জেতেননি, ধোনিও জিতেছেন সমান ৫টি। তবে সেই রোহিতই বছরের পর বছর ধরে আইপিএলে ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যর্থ।

এমনকি সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যর্থ ছিলেন রোহিত। একমাত্র ফিফটি করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টে তাঁর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ২৭ রান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

এবারের আইপিএলে রান করেছেন ১৩ ইনিংসে ৩৪৯

ভারতীয় অধিনায়ক যেমন ফর্মে নেই, তেমনি সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত খেলা ১৩ ম্যাচে মাত্র ১৮ গড়ে ২০০ রান করেছেন পান্ডিয়া। এই দুজনের বাজে ফর্মের জন্য ভুগছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসও। প্রথম দল হিসেবে এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে গেছে তারা।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান এক্সে এই দুজনের ফর্ম নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়া ও রোহিত শর্মার ফর্ম মুম্বাই ও ভারতীয়দের জন্য উদ্বেগের জায়গা। আশা করেন, যেন তারা দ্রুতই ছন্দে ফিরে আসে।’