বাংলাদেশ দল ধর্মশালা আসার পর থেকেই সুন্দর আবহাওয়া পেয়েছে। সারা দিন ঝকঝকে রোদ, রাতে আরাম-আরাম ঠান্ডা। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাই জাগেনি কখনো। ইংল্যান্ডের ম্যাচের আগের রাতেই কিনা তা বদলে গেল! স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। মাঝখানে বৃষ্টির তোড় একটু কমলেও রাত সাড়ে ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় আবার তা বেড়েছে। বজ্রের গর্জন হুমকি দিচ্ছে, এই বৃষ্টি আরও অনেকক্ষণ চলতে পারে।
ধর্মশালার স্টেডিয়াম আমার হোটেল থেকে খুব একটা দূরে নয়। এখানে বৃষ্টি হচ্ছে মানে স্টেডিয়ামও ভিজছে বৃষ্টিতে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ডে ম্যাচ, খেলা শুরু হওয়ার কথা স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। আগের রাতে বৃষ্টি যেকোনো মাঠেই পরের দিন খেলা নিয়ে সংশয় জাগাত। খেলা হলেও নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে কি না, ওভার কি কমবে—এসব প্রশ্নও আসত প্রাসঙ্গিকভাবেই। আর এখানে তো ঘটনা আরও গুরুতর।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচেই ধর্মশালার আউটফিল্ডের যে অবস্থা ছিল, তাতে এই বৃষ্টির পর তা খেলার উপযোগী থাকে কি না, এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
শেষ পর্যন্ত যদি খেলা হয়ও, বাড়তি স্পিনার খেলানোর পরিকল্পনা থেকে হয়তো সরে আসতে হবে বাংলাদেশকে। ইংল্যান্ডের গেমপ্ল্যান হয়তো বদলাবে না, তবে বাংলাদেশের থিঙ্কট্যাংককে একটু ঝামেলাতেই ফেলে দিল এই বৃষ্টি।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন অবশ্য এটাই, আদৌ খেলা হবে তো?