পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমল
পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমল

পাকিস্তানের স্পিন বোলিং কোচ হচ্ছেন আজমল, অনূর্ধ্ব ১৯ দলের প্রধান কোচ ইউসুফ

পাকিস্তান ক্রিকেটে চলছে পরিবর্তনের ঝড়। জাতীয় দলের অধিনায়ক থেকে নির্বাচক, কোচিং স্টাফ সব জায়গাতেই পরিবর্তন এসেছে। নতুন ক্রিকেট পরিচালক হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করবেন হাফিজ। প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে ওয়াহাব রিয়াজকে।

পাকিস্তান কিংবদন্তি মোহাম্মদ ইউসুফও এবার নতুন এক দায়িত্ব পেলেন।অনূর্ধ্ব ১৯ দলের প্রধান কোচ হয়েছেন ইউসুফ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ হতে যাচ্ছেন সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমল। এ খবার জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও সুপার।

২০০৮ থেকে ২০১৫—এই সময়ে পাকিস্তানের হয়ে সব সংস্করণ মিলিয়ে ২১২ ম্যাচ খেলেন আজমল। জিও সুপার সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উমর গুলের সঙ্গে বোলিং বিভাগের দায়িত্ব নেবেন আজমল। গুল সামলাবেন পেস বিভাগের দায়িত্ব। সহকারী কোচ হয়ে ফিরতে পারেন শহীদ আসলাম। আর ফিল্ডিং কোচ হিসেবে ফিরতে পারেন আবদুল মাজিদ।

পাকিস্তানের হয়ে ২০০৯ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইউনিস খানেরও নতুন দায়িত্ব পাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তান জুনিয়র ক্রিকেট ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে পারেন ইউনিস। তাঁর কাজ হবে নতুন ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনা।
ইউসুফ এর আগে পাকিস্তান জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট একডেমিতেও কাজ করেছেন তিনি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর পিসিবির পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইউসুফ বলেছেন, ‘পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দায়িত্ব নিতে পেরে খুশি ও সম্মানিত। আগামী অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ও অনূর্ধ্ব ১৯  বিশ্বকাপের জন্য মুখিয়ে আছি। যেটা ক্রিকেটারদের বেড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই টুর্নামেন্টে আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

মোহাম্মদ ইউসুফ

ইউসুফের প্রথম অভিযান শুরু হবে ডিসেম্বরে এশিয়া কাপের মধ্যে দিয়ে। যুব বিশ্বকাপ হবে পরের বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে, শ্রীলঙ্কায়।

পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয় ইউসুফকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ১৭ হাজারের বেশি রান, আছে ৩৯টি সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের হয়ে প্রায় ৩০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই ব্যাটসম্যানের জন্য ২০০৬ সালটা ছিল বিশেষ এক বছর। সে বছর ইউসুফ ব্যাট হাতে টেস্টে করেছিলেন ১৭৮৮ রান, ভেঙেছিলেন টেস্টে এক পঞ্জিকাবর্ষে ভিভ রিচার্ডসের করা সর্বোচ্চ ১৭১০ রানের রেকর্ড।